এই মুহূর্তে মুসলিম ভোট খুবই জরুরী সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে। এমন কী বিজেপিও মনে করেন রাষ্ট্রপ্রেমী বিজেপির পক্ষে তারা। সেই পরিস্থিতিতেই ত্বহা সিদ্দিকীকে নিয়ে নয়া বিতর্ক। ত্বহা সিদ্দিকী বলেন, “একটা জিনিস আমি বলি, শুভেন্দু অধিকারী কী করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন, অধীর চৌধুরী কী করছেন, এটা বাংলার মানুষ দেখবেন না। আমাদের যে কোটি কোটি ভক্ত রয়েছে, তাঁদের একটা নির্দেশ দিচ্ছি, যারা মানুষের পাশে থাকবে, যারা উন্নয়ন করবে, যারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে, তাদের পাশে আমরা ছিলাম, থাকব।” তিনি বুঝিয়ে দেন যে দুটো কথা বলে মুসলিম ভোট পাওয়া যাবে না। তার জন্য কাজ করতে হবে।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী ও হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য নিয়ে যখন চরম বিতর্ক তৈরী হয়েছে, তখন ত্বহা সিদ্দিকী বলেন, “হুমায়ুন কবীর ও শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁরা কে কী বলছেন, তাঁদের ছেঁড়াছেঁড়ি করতে দিন। আসল মাল তো আমরা। ওরা দু’জনে কে কী চেয়ারে বসবে, সেটা তো আমরা ঠিক করে দেব। শেষে সিদ্ধান্ত আমরা নেব, কে চেয়ারে বসবে। আমরা ভাল মানুষ বেছে নেব।” কয়েকদিন আগে ফুরফুরা শরিফে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন ফুরফুরা শরিফে ইফতারে মমতার পাশে দেখা গিয়েছিল ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকীকে। পরদিন পার্ক সার্কাসেও ইফতারে মমতার পাশে ছিলেন কাশেম। সেইসময় ত্বহা বলেছিলেন, “আমার মনে হচ্ছে নওশাদকে (ভাঙড়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে হবে। যা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই শুনতে হবে। আর যদি না শোনে আমার মনে হচ্ছে পীর সাহেব পরিবারের কোনও একজনকে ভাঙড়েই দাঁড় করাবেন উনি।”