সমস্ত রীতি ও নিয়ম মেনে সোমবার হয়ে গেলো ডুয়ার্সয়ের হেমিল্টন সাহেবের পুজো। ১৯১৭ সালে এই কালীপুজো শুরু হয়। জানা যায়, সেই সময় এই এলাকায় একের পর এক চা বাগান তৈরি হয়েছিল। ইউরোপিয়ান সাহেবরা এই চা বাগানের দায়িত্বে ছিলেন। চা বাগানে কাজ করার জন্য ঝাড়খণ্ড, ছোটনাগপুর থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হত। পুজোর ছুটিতে শ্রমিকরা নিজেদের এলাকায় চলে যেতেন। তবে তাঁদের মধ্যে অনেকে ফিরতেন না। শ্রমিকরা যাতে না যান এবং তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য ইউরোপিয়ান সাহেবরা এই এলাকায় কালীপুজোর সূচনা করেন।
এখানে গেলে দেখা যাবে ইউরোপিয়ান সাহেবদের বাড়ির আদলে তৈরি মন্দির। সেই যুগের কাঠ এখনও মন্দিরে রয়ে গিয়েছে। প্রথমে কালী মন্দিরের পুরোটাই কাঠের ছিল এবং মায়ের মূর্তি ছিল মাটির। পরবর্তীতে পাকা মন্দির করা হয়। বর্তমানে সাহেবরা নেই কিন্ত সেই রীতি মেনে হ্যামিলটনগঞ্জবাসী পুজো ও মেলার আয়োজন করে আসছে। এই পুজোর সঙ্গে হ্যামিলটনগঞ্জ সহ গোটা ডুয়ার্সবাসীর আবেগ জড়িয়ে আছে। এখানে ১৩ দিন ব্যাপী মেলা চলে। প্রতিবেশী ভুটান, নেপাল সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা তাঁদের স্টল নিয়ে এই মেলায় হাজির হয়েছে। এই মেলা ও পুজোকে কেন্দ্র করে হ্যামিলটনগঞ্জবাসীর আবেগ জড়িয়ে আছে।