অনেক সময় আমরা প্রিয়জন মারা গেলে তাঁর স্মৃতি হিসাবে অনেক জিনিস সংরক্ষণ করে থাকি। এমন কি কিছু জিনিস ব্যবহার পর্যন্ত করি। কিন্তু গরুর পুরাণ মতে মৃত ব্যক্তির জিনিসপত্র, পোশাক ব্যবহার করা উচিত নয়। এগুলির মধ্যে সেই ব্যক্তির শক্তি বাহিত হয়। সেই শক্তির আপনার যেমন ভালো হতে পারে তেমনই চরম ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। মনে করা হয় মৃত ব্যক্তির জিনিসপত্র যেমন – পোশাক, গয়না, ঘড়ি, জুতো এবং বাসনপত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে পূর্বপুরুষের অভিশাপ লাগতে পারে। এর ফলে পিতৃ দোষ তৈরি হতে পারে। যা বহু প্রজন্ম ধরে স্থায়ী হতে পারে। গরুড় পুরাণ অনুসারে, মৃত ব্যক্তির কোন কোন জিনিসপত্র ব্যবহার করা উচিত নয় –
১। পোশাক – মৃত ব্যক্তির পোশাক পরা উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয় যে ঐ পোশাকগুলিতে মৃত ব্যক্তির শক্তি থাকে। অতএব, এগুলো ব্যবহারের নেতিবাচক পরিণতি হতে পারে।
২। গয়না – মৃত ব্যক্তির অলংকার পরা উচিত নয়। এই অলঙ্কারগুলিতে মৃত ব্যক্তির শক্তিও থাকে এবং এগুলোর ব্যবহার দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে।
৩। ঘড়ি – মৃত ব্যক্তির হাত ঘড়ি পরা উচিত নয়। ঘড়ি সময়ের প্রতীক। এই ধরনের ঘড়ি ব্যবহার জীবনে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৪। জুতো – যে জুতোয় মৃত ব্যক্তির পায়ের ধুলো থাকে তা কখনও ব্যবহার করতে নেই। তা ব্যবহারের ফলে রোগ বা অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
৫। বাসনপত্র – এমনকি মৃত ব্যক্তির বাসনপত্রও ব্যবহার করা উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই পাত্রগুলিতে মৃত ব্যক্তির অবশিষ্ট খাবার থাকে, এগুলি ব্যবহার করলে দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হবে।
পিতৃ দোষ এবং এর প্রভাব গরুড় পুরাণ অনুসারে, মৃত ব্যক্তির জিনিসপত্র ব্যবহার করলে পিতৃ দোষ হয়। পিতৃদোষ মানে মৃত পূর্বপুরুষদের প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়া এবং তাদের আশীর্বাদ না পাওয়া। মৃত ব্যক্তির জিনিসপত্র নিয়ে কী করবেন? গরুড় পুরাণ অনুসারে, মৃত ব্যক্তির জিনিসপত্র পুড়িয়ে ফেলা উচিত অথবা দান করা উচিত। এর মাধ্যমে, পিতৃদোষ এড়ানো যায় এবং জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি অর্জন করা যায়।