খবরে আমরাঃ দোলের আগের দিন প্রথা অনুযায়ী, ন্যাড়াপোড়া অনুষ্ঠিত হয়। যদিও এই ন্যাড়াপোড়া পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িষাতে চল থাকলেও উত্তরভারত -সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যে হোলিকা দহন হিসেবে পালিত হয়। প্রতি বছর হোলির একদিন আগে হোলিকা দহন বা ছোট হোলি পালন করা হয়। আর মাত্র একদিন বাকি।
আগামী ১৮ মার্চ রঙের উত্সবে মেতে উঠবে গোটা দেশ। আর ১৭ মার্চ, আগামীকাল পালিত হবে হোলিকা দহন। এইদিন, অশুভ শক্তি যা কিছু,মন্দ যা কিছু, সবেরই ভাল দিক রয়েছে, সেগুলিকে উন্মোচন করাই লক্ষ্য। আর সেই উদ্দেশ্যেই আগুন জ্বালিয়ে হোলিকা দহন উত্সব পালন করা হয়। এই প্রথা ফাল্গুনমাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালন করা হয়ে থাকে।
হোলিকা দহন উৎসব অসুরা হোলিকাকে পোড়ানোর মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়। হিন্দুধর্মের অনেক ঐতিহ্যেই হোলি উৎসবে প্রহ্লাদকে বাঁচাতে বিষ্ণুর দ্বারা হোলিকা বধকে উদ্যাপন করা হয়। এই দিনে প্রজ্বলিত অগ্নি অসুর হোলিকার দহনের প্রতীক। ভাদ্র তীর্থের সাধারণতা অনুসারে হোলিকা দহন মুহুর্তের শুভ সময় নির্ধারণ করা হয়। প্রদোষ কালের সময় জেনে পূর্ণিমা তিথি চলাকালীন সেই তারিখে সন্ধ্যায় হোলিকা দহনের আগুন জ্বালানো হয়। সাধারণত সূর্যাস্তের পরই প্রদোষ কালের মুহুর্ত শুরু হয়। হোলিকা দহন উৎসব অসুরা হোলিকাকে পোড়ানোর মাধ্যমে উদ্যাপন করা হয়। হোলিকা দহন হিন্দুদের কাছে অনেক তাৎপর্য বহন করে। হোলিকা দহনে কী করবেন এবং কী করবেন না, দেখে নিন একনজরে…
কী কী করবেন…
– দৃক পঞ্চং অনুসারে, হোলিকা প্রজ্জ্বলনের আগে হোলিকা পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সঠিক মুহুর্তে পূজা করা উচিত।
– একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান এবং আপনার বাড়ির উত্তর দিকে বা কোণে রাখুন। তাতে শান্তি এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
– পরিক্রমার আগে পবিত্র আগুনে সর্ষন, তিল, ৫ বা ১১ টি শুকনো গোবরের ঘুঁটে, অক্ষত, চিনি, গোটা গমের দানা নিবেদন করুন।
– হোলিকা দহনে একদিন উপবাস রাখুন বা পুজোর আগে ফল এবং দুগ্ধজাত পণ্য-সহ সাত্ত্বিক খাবার খান।
– গোবর এবং গঙ্গার পবিত্র জল দিয়ে হোলিকার স্থানটি ধুয়ে ফেলুন।
– হোলিকার ছাই সংগ্রহ করুন এবং শরীরে দাগ লাগান কারণ এটি ধার্মিক বলে মনে করা হয় এবং শরীর ও আত্মাকে শুদ্ধ করবে।
কী কী করবেন না
– হোলিকা দহনের দিনে টাকা ধার দেবেন না কারণ এটি শুভ বলে মনে করা হয় না।
– হোলিকা পূজার আগে বাইরের লোকের দেওয়া জল বা খাবার খাবেন না।
– হোলিকা দহন পূজা করার সময় হলুদ বা সাদা রঙের পোশাক পরবেন না।
– হোলিকা দহনের সন্ধ্যায় বা পূজার সময় চুল খোলা রাখবেন না।
– হোলিকা দহনের রাতে রাস্তায় পড়ে থাকা কোনও এলোমেলো বস্তু স্পর্শ করবেন না, এতে বিপদ বাড়তে পারে।