www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

November 28, 2025 12:48 pm

বিপুলা এই পৃথিবী বৈচিত্রময়। বিশ্বের ধৰ্মীয় সংস্কৃতির মধ্যে আছে বহু বৈচিত্র।

বিপুলা এই পৃথিবী বৈচিত্রময়। বিশ্বের ধৰ্মীয় সংস্কৃতির মধ্যে আছে বহু বৈচিত্র। আমাদের দুর্গা পুজোর সময় যেমন সিংহ থেকে ইঁদুর পর্যন্ত পূজিত হয় তেমনই বিশ্বের কোনো কোনো প্রান্তে কুমিরকেও দেবতা রূপে পুজো করা হয়। কুমিরকে দেবতা হিসেবে পূজা করা হয় সুন্দরবনের কালুরায় এবং বাস্তু দেবী সম্পর্কিত বাস্তু পূজায়, যেখানে কুমিরকে রক্ষা ও উর্বরতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এছাড়া, মিশরের প্রাচীন সভ্যতাতেও সোলেক নামের কুমির দেবতা ছিলেন এবং গঙ্গা দেবীর বাহন হিসেবেও কুমির বা মকর দেখা যায়।

  • সুন্দরবন অঞ্চল:

কালুরায় পূজা: সুন্দরবনের জল ও বনজীবী মানুষেরা কুমির থেকে রক্ষার জন্য কালুরায় দেবতার পূজা করেন। কালুরায়কে কখনো কখনো বনবিবির সঙ্গেও পূজা করা হয়।

বাস্তু পূজা: এই পূজায় বাস্তু দেবীর বাহন হিসেবে কুমিরকে দেখা হয়। বাস্তু দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য পৌষ সংক্রান্তিতে কুমিরের মূর্তি তৈরি করে পূজা করা হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হলো জমিজমা ও ফসলের সুরক্ষা।

  • অন্যান্য অঞ্চল ও সভ্যতা: মিশরীয় সভ্যতা: প্রাচীন মিশরে সেবেক বা সোলেক নামক কুমির দেবতা ছিলেন, যিনি প্রাথমিক উর্বরতা এবং মৃত্যু ও সমাধির সাথে যুক্ত ছিলেন। গঙ্গা পূজা: হিন্দু ধর্মমতে গঙ্গা দেবী মকর নামক একটি ঐশ্বরিক কুমিরের উপর চড়ে থাকেন এবং তাকে কুমিরের বাহন হিসেবেও দেখা হয়।
  • গোয়াতে কুমির পূজা:
    গোয়ার জুয়ারি নদীর তীরেও কুমিরের পূজা করা হয়। সেখানে কুমিরের মাটির মূর্তি তৈরি করে পূজা করা হয় এবং এটি সেখানকার গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রচলিত আছে।
administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *