www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

October 15, 2025 4:49 pm

প্রায় শতবর্ষ পেরিয়েও চৌদ্দ চুলা কালীপুজো আজও আদ্রা রেলশহরের গৌরব ও সংস্কৃতির জীবন্ত সাক্ষী হয়ে আছে।

প্রায় শতবর্ষ পেরিয়েও চৌদ্দ চুলা কালীপুজো আজও আদ্রা রেলশহরের গৌরব ও সংস্কৃতির জীবন্ত সাক্ষী হয়ে আছে। অনেক ইতিহাসেরও সাক্ষী এই চোদ্দ চুলার পুজো। প্রচলিত কাহিনী থেকে জনা যায়, প্রায় এক শতাব্দী আগে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের তৎকালীন ডিআরএমের উদ্যোগে আদ্রা রেলশহরে যে কালীপুজোর সূচনা হয়েছিল, সেই ঐতিহ্য আজও অম্লান। সময়ের প্রবাহে বহু পরিবর্তন এলেও আদ্রা ডিভিশনেরই এক নিষ্ঠাবান রেলকর্মীর হাতে এই পুজো আজও সগৌরবে টিকে আছে। যা আজ পুরুলিয়া জেলার মধ্যে ঐতিহ্য ও শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে এই ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোর সমস্ত দায়িত্ব ও আয়োজনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন আদ্রা ডিভিশনেরই এক রেলকর্মী। জানা যায়, ১৯২৮ সালে আদ্রা রেলশহরে কোনও শ্মশানঘাট ছিল না। সেই সময় এক মারাত্মক মহামারীতে একসঙ্গে ১৪ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে। তৎকালীন ডিআরএম চন্দ্র কুমার সরকারের উদ্যোগে তাদের শেষকৃত্যের জন্য ওই স্থানে ১৪টি পৃথক চুল্লি নির্মাণ করা হয়। সেই থেকেই স্থানটির নামকরণ হয় “চৌদ্দ চুলা”। পরবর্তীতে, স্থানটি শ্মশানঘাটে রূপান্তরিত হলে, চন্দ্র কুমার সরকার সেখানে কালীপুজোর প্রচলন করেন। আর এর পর থেকে এই স্থানটি শুধু শ্মশানঘাট হিসেবেই নয়, বরং একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্রের রূপ নিয়েছে। বর্তমানে এই কালীপুজো আজও ঐতিহ্যের সঙ্গে চালিয়ে আসছেন রেলকর্মীরা। তাঁর উদ্যোগে সম্প্রতি এখানে নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে কালীমন্দির এবং উন্নত করা হয়েছে শ্মশানঘাটের পরিকাঠামো। প্রায় শতবর্ষ পেরিয়েও চৌদ্দ চুলা কালীপুজো আজও আদ্রা রেলশহরের গৌরব ও সংস্কৃতির জীবন্ত সাক্ষী হয়ে আছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *