www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 26, 2024 10:06 pm
chaitanya

বৈদিক শাস্ত্রে নির্দেশিত, শ্রীচৈতন্যদেবের প্রদর্শিত সেই বৈষ্ণব দর্শনই আজ প্রচারিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী, যার অপ্রতিরোধ্য ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব স্বয়ং- “পৃথিবীতে আছে যত নগরাদি গ্রাম। সর্বত্র প্রচার হেইবে মোর নাম।।” মহাপ্রভু কোনো সাহিত্য সৃষ্টি করেন নি। কিন্তু তাঁর ভক্তিবাদের প্রভাবে বাংলা সাহিত্যে তৈরি হয়েছিল নতুন এক সাহিত্যধারা - যাকে বলা হয় 'জীবনী সাহিত্য'।

যখন মানব সমাজে অনাচার,শোষণ ও অত্যাচার নেমে আসে, তখনই সেই অনাচার দূর করার জন্য শ্রীকৃষ্ণ অবতাররূপে জন্ম নেয় পৃথিবীতে। হিন্দু বাঙালিদের বিশ্বাস মহাপ্রভু চৈতন্য তেমনি একজন অবতার। দ্বাদশ শতাব্দী থেকেই বাংলা তথা ভারতে যে ধর্মীয় মৌলবাদের সৃষ্টি হয়,তার জন্যই মহাপ্রভু চৈতন্যের জন্ম বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। তিনি তৈরি করলেন এক ক্রান্তিকাল যাকে বলাহয় ‘ভাববিপ্লব’।(Spiritual)

শুধু কৃষ্ণপ্রেমের নামে মানবপ্রেমের বাণী বিতরণ। তিনি বলেন,’জীব প্রেমই কৃষ্ণপ্রেম। কলিযুগের ধর্মই হবে মানবপ্রেম।’ ১৪৮৬ সাল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ তখন বিদ্যাশিক্ষার পীঠস্থান। পান্ডিত্যের অহঙ্কারে বরণীয় পন্ডিতগণের চরণ যেন ভুমিস্পর্শ করে না। আবার, অধর্মের অভ্যুত্থান তখন পৃথিবীর সর্বত্র তো ছিলই, বিশেষত বঙ্গদেশে তখন ধর্মপ্রাণ, নিরীহ মানুষের প্রতি দুর্বিনীত আসুরিক প্রাণীদের যাদের রক্তবীজ এখনো জনসমাজে বিদ্যমান, যাদের আমি মানুষ বলে মানুষ নামে কলঙ্ক জড়াতে চাই না; তাদের অন্যায়-অবিচার, অত্যাচার, হিংসা, লুণ্ঠন, মিথ্যাচার, আর চুরি, ডাকাতি আদি অনাচার এবং বর্ণ-ধর্ম নিয়ে জাতপাতের (SRi Krishna) chaitanya mahapravuভেদাভেদাদি অধর্ম চরমে পৌঁছেছিল।

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার (Vagabat Gita) দৃপ্ত বাণীর সার্থক রূপদানে, ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শ্রীধাম মায়াপুরে, ধরণীর কোল আলোকিত করে, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতীর্ণ হয়েছিলেন ‘শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য’ (Chaitanya Mahapravu) নাম ধরে, যাঁর নামানুসারে বাংলা সাহিত্যে এক নবযুগের সূচনা হয়, যাকে বলা হয় ‘চৈতন্যযুগ’।

পিতা জগন্নাথ মিশ্র তাঁর নাম রাখেন বিশ্বম্ভর। সুবর্ণ বর্ণ অঙ্গকান্তির জন্য তাঁকে গৌরাঙ্গ, গৌরহরি নামেও ডাকা হয়। আবার, দিগ্বজয়ীবিজিত নিমাই পন্ডিত নামে তিনি সকলের পান্ডিত্যের অহঙ্কার বিচূর্ণ করেছিলেন। হিংসা-দ্বেষ, জাতিভেদ ভুলিয়ে, অহিংসার বাণী শুনিয়ে, সাম্প্রদায়িকতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে, সকলের হৃদয় জয় করে চৈতন্যদেব প্রচার করেছিলেন বিশ্বমানবতার ধর্ম-প্রেমধর্ম, যা বৈষ্ণবধর্ম নামে সুবিদিত।

বৈদিক শাস্ত্রে নির্দেশিত, শ্রীচৈতন্যদেবের প্রদর্শিত সেই বৈষ্ণব দর্শনই আজ প্রচারিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী, যার অপ্রতিরোধ্য ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব স্বয়ং- “পৃথিবীতে আছে যত নগরাদি গ্রাম। সর্বত্র প্রচার হেইবে মোর নাম।।” মহাপ্রভু কোনো সাহিত্য সৃষ্টি করেন নি। কিন্তু তাঁর ভক্তিবাদের প্রভাবে বাংলা সাহিত্যে তৈরি হয়েছিল নতুন এক সাহিত্যধারা – যাকে বলা হয় ‘জীবনী সাহিত্য’।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *