www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

October 15, 2024 5:32 pm

লিম্ফোমা রক্তের ক্যান্সারের একটি ভিন্নধর্মী গ্রুপ যা লিম্ফোসাইটকে প্রভাবিত করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। অথচ এই রোগের ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে যার মাধ্যমে রোগী সম্পুর্ন ভাবে সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারে।

লিম্ফোমা রক্তের ক্যান্সারের একটি ভিন্নধর্মী গ্রুপ যা লিম্ফোসাইটকে প্রভাবিত করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। অথচ এই রোগের ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে যার মাধ্যমে রোগী সম্পুর্ন ভাবে সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারে। লিম্ফোমা ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর
১৫ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্ব লিম্ফোমা দিবস।
তার আগে শুক্রবার কলকাতার টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসায় সেরে ওঠা লিম্ফোমা রোগীরা শোনালেন তাদের ক্যান্সার জয়ের কাহিনী।
বর্তমানে যারা লিম্ফোমা সহ অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত তাদের বাঁচার মন্ত্র দিলেন ক্যান্সার জয়ী মানুষরা।
কলকাতার উপকণ্ঠে নিউ টাউনে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে শুক্রবার বিশ্ব লিম্ফোমা দিবস পালন করা হয়। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের সামনেই তাদের ক্যান্সার সেরে ওঠার কাহিনী তুলে ধরেন ক্যান্সারজয়ীরা যাতে বর্তমানে ক্যান্সারে চিকিৎসাধীন রোগীরা ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করার মনোবল ফিরে পায়।
চিকিৎসকরা জানান, ক্যান্সার জটিল রোগ হলেও বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসায় এডভান্স লিম্ফোমা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের ক্লিনিক্যাল হেমাটোলজির ডক্টর সৌরিয় ঘোষ বলেন, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করা হয় যাতে নির্ভয়ে চিকিৎসার মাধ্যমে তারা দ্রুত সেরে উঠতে পারে৷
আর এক চিকিৎসক ডক্টর রীনা নায়ার বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি আগের থেকে অনেক বদলে গেছে। এখন অনেক বেশি মানুষ এই রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারে৷ তাই এ ধরনের ক্যান্সার সার্ভাইভার ডে র আয়োজন করা হয় অন্য রোগীদের মধ্যে মনোবল বাড়াতে।
ডক্টর দেবরঞ্জনী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ক্যান্সার বিশেষ করে লিম্ফোমার চিকিৎসা এখন সম্পুর্ন ভাবে সেরে যায় উপযুক্ত চিকিৎসায়। তাই অযথা ভয় বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারন নেই৷ অসুস্থ হলেই চিকিৎসকের কাছে আসুন। সম্পুর্নভাবে সেরে উঠবেন।
এদিনের আলোচনায় চিকিৎসক থেকে ক্যান্সার সারভাইবাররা আর জি করের ঘটনায় এক মিনিটের নিরবতা পালন করেন। সকলেই উই ওয়ান্ট জাস্টিস ব্যাজ বুকে লাগিয়ে আলোচনায় অংস নেন৷ ক্যান্সার সারভাইবাররা তুলে ধরেন তাদের ক্যান্সার জয়ের কাহিনী।
কেমন ছিল সেই লড়াই?
দমদমের বাসিন্দা সৌগত হালদার ২০২৩ সালে দক্ষিন পুর্ব রেলের চাকরি থেকে অবসর নেন। চাকরি করতে করতেই ২০১৬ সালে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি বলেন, প্রথমে তো হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ভেঙে পড়েছিলাম। পরে টাটা মেডিক্যেলে এক বছর চিকিৎসা করানোর পর এখন পুরপুরি সুস্থ্য৷ তিনি বলেন, এখন মেডিক্যাল সাইন্স খুবই উন্নত। তাই ‘ক্যান্সার ইস নো এন্সার’ আজ আর নয়। অন্য মানুষদেরও বলবেন ক্যান্সার ধরা পড়লে ভয় না পেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। মনের জোর রাখুন। মনের জোরই এই রোগকে হারাতে পারে।
কোন্নগরের বাসিন্দা শম্পা পাল বলেন, ১২ বছর আগে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি সম্পুর্ন ভাবে সুস্থ। তিনি মনে করেন ক্যান্সার ধরা পড়লে অযথা চিন্তা না করে। চিকিৎসা শুরু করুন দ্রুত। আর একদম ফুর্তিতে থাকুন। বিন্দাস থাকুন। দেখবেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন৷
বিরাটির বাসিন্দা মনিষা ব্যানার্জী বলেন, ‘প্রথমে আমার হার্নিয়া হয়েছিল। পরে এখানে ডাক্তার দেখাই। তখন ক্যান্সার ধরা পড়ে৷ একটা কেমো নিয়েই সুস্থ্য হয়ে যাই। এখন এই ৭০ বছর বয়সেও আমি সম্পুর্ন সুস্থ্য। এখন বাজার দোকান সবই করছি। তাই আমি বলব যারা ক্যান্সারে আক্রন্ত হচ্ছেন অযথা ভয় পাবেন না। চিকিৎসায় সম্পুর্ন সুস্থ্য হয়ে যাবেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *