মায়ের সোনার গয়না হাতানোর চেষ্টা করেছিল ছেলে ও ছেলের বউ। তাঁদের থেকে গয়না রক্ষার জন্য সেই গয়না ওই মহিলা তাঁর মায়ের বাড়িতে রেখে এসেছিলেন। তবে সেই গয়না রক্ষা হয়নি। দিদার অনুপস্থিতিতে নাতি ও নাতবউ ওই বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। ১৫ ভরি সোনার গয়না চুরি করে চম্পট দিয়েছিলেন তাঁরা? কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করল ওই দুই গুণধরকে। উদ্ধার হয়েছে ওই সোনার গয়নাও। আপাতত শ্রীঘরে ওই স্বামী-স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা এলাকায়। রানিনগর থানার বংশীবদনপুর গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা আরতি গুপ্ত। তিনি দিন কয়েক আগে দৌলতাবাদে মেয়ে সাথী কর্মকারের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
২৪ জুলাই রাতে তাঁর বাড়িতে চুরি হয়। ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে ১৫ ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় চোর। পরদিন সকালে স্থানীয়রা ওই ঘরের দরজা ভাঙা দেখতে পেয়ে আরতিকে খবর দেন। তিনি রানিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের নাতি রাহুল কর্মকার ও তাঁর স্ত্রী মিঠুর প্রতি সন্দেহ হয়। প্রথমে দুজনের কেউই ওই চুরির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন। স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়। বিচারক রাহুলকে পাঁচদিন ও মিঠুকে তিনদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ হেফাজতে শুরু হয় জেরা। ধারাবাহিক জেরায় গয়না চুরির কথা স্বীকার করে নেন দুজনেই। কিন্তু চুরির গয়না কোথায় রাখা হয়েছে? ধৃতরাই সেই কথা জানিয়ে দেন। রাহুলের স্কুটির ভিতরে ওই সোনার গয়না লুকনো ছিল। পুলিশ স্কুটির ভিতর সোনার গয়না উদ্ধার করে।