www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 19, 2024 9:46 am
lokenath

লোকনাথ ব্রহ্মচারী (জন্ম: ১৭৩০ - মৃত্যু: ১৮৯০) ছিলেন একজন হিন্দু সিদ্ধপুরুষ। তিনি বাবা লোকনাথ নামেও পরিচিত। হিন্দুধর্মানুশারীদের নিকট লোকনাথ ব্রহ্মচারী অত্যন্ত পূজনীয় ব্যাক্তিত্ব। তিনি দেহত্যাগের পূর্বপর্যন্ত বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী আশ্রমে অবস্থান করেছিলেন। বাবা লোকেনাথ ব্রহ্মচারী (Baba Lokenath) আশ্রম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে (bardi) অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থভূমি। বিশেষত বাঙালি হিন্দুর কাছে এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।

‘রণে বনে জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়িবে স্মরণ করিও, রক্ষা করিব।’

লোকনাথ ব্রহ্মচারী (জন্ম: ১৭৩০ – মৃত্যু: ১৮৯০) ছিলেন একজন হিন্দু সিদ্ধপুরুষ। তিনি বাবা লোকনাথ নামেও পরিচিত। হিন্দুধর্মানুশারীদের নিকট লোকনাথ ব্রহ্মচারী অত্যন্ত পূজনীয় ব্যাক্তিত্ব। তিনি দেহত্যাগের পূর্বপর্যন্ত বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী আশ্রমে অবস্থান করেছিলেন। বাবা লোকেনাথ ব্রহ্মচারী (Baba Lokenath) আশ্রম নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে (bardi) অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থভূমি। বিশেষত বাঙালি হিন্দুর কাছে এটি একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।

বাবা লোকনাথের কিছু অলৌকিক কথা–

আদালত চত্বরে সে দিন তিল ধারণের জায়গা নেই। কোর্টের বাইরেও ঔৎসুক জনতার ভিড়, সবাই এসেছে কঙ্কালসার এক সাধককে দেখতে, যিনি এই কেসের অন্যতম সাক্ষী। আইনি এই লড়াই চলছে বারদীর জমিদারের সঙ্গে এক ব্রহ্মচারীর, যাকে জমিদারের উচ্ছৃঙ্খল পুত্র শারীরিক ও মানসিকভাবে আঘাত করেছে। ব্রহ্মচারীর সাক্ষী হয়ে সাধক কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন। জমিদারপক্ষের উকিল তাঁকে বয়স জিজ্ঞাসা করল। সাধক উত্তর দিলেন, দেড়শো বছর। চারদিকে একটা গুঞ্জন, সবাই অবাক — কী বলছে সাধক! দেড়শো বছর কি কারও বয়স হতে পারে নাকি?

জমিদারের উকিল বিচারককে বললেন, ‘ধর্মাবতার, আপনি নিশ্চই বুঝতে পারছেন এই সাধক মানসিক ভাবে সুস্থই নয়। বিজ্ঞানের সাধারণ নিয়মে কোনও মানুষ দেড়শো বছর বাঁচতেই পারে না, আর কোনওক্রমে যদিও বা বাঁচে, তাহলে সেই মানুষটির দাঁড়িয়ে কথা বলার ক্ষমতা থাকে না। এই সাক্ষী নিজের বয়স নিয়েই ডাহা মিথ্যে বলছেন’।

উকিল সাধকের কাছে আবার এগিয়ে গিয়ে বললেন, ‘আপনি বলছেন, আপনি স্বচক্ষে ঘটনাটি দেখেছেন, দেড়শো বছর বয়সে আপনার দৃষ্টিশক্তি এত পরিষ্কার যে আপনি প্রায় পঞ্চাশ ফুট দূর থেকে সবকিছু দেখতে পেলেন, সবাইকে চিনতেও পারলেন’!

সাধক মৃদু হেসে বললেন, ‘আচ্ছা, আদালতের বাইরে,দূরে ঐ যে কদম গাছটি দেখা যাচ্ছে, ওর পশ্চিম দিকের মোটা ডালটায় কোনও প্রাণীকে দেখতে পাচ্ছো’?

সবাই গাছটার দিকে তাকিয়ে কিচ্ছু দেখতে পেল না। সাধক হেসে ফেলে বললো, ‘তোমাদের বয়স কম, দৃষ্টিশক্তিও ভালো, তবুও কিছু দেখতে পাচ্ছো না? আমি কিন্তু পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি ওই ডাল বেয়ে সারি সারি পিঁপড়ের দল উপরের দিকে উঠছে, বিশ্বাস না হলে তোমরা কাছে গিয়ে দেখে আসতে পারো’।

সাধকের কথা শুনে সবাই অবাক। এ কী করে সম্ভব? এত দূর থেকে গাছের ডালে পিঁপড়ের দলকে লক্ষ করা যায়!

বিচারপতির নির্দেশে সবাই মিলে গাছের তলায় গিয়ে স্তম্ভিত হয়ে দেখল, সত্যিই সেই কদম গাছের ডাল বেয়ে পিঁপড়ের দল উপরে উঠছে। আদালত চত্বর তখন উত্তাল, সাধারণ মানুষের জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে আইনের পাঠশালা… জয় লোকনাথ বাবার জয়… জয় লোকনাথ বাবার জয়।

সময়টা একাদশ শতাব্দীর তৃতীয় দশক। কলকাতার কাছেই বারাসত অঞ্চলে কচুয়া গ্রামে ঘোষাল পরিবারের বড় ইচ্ছা ছিল তাদের সন্তান লোকনাথ সন্ন্যাসী হোক। আর পাঁচটা সাধকের সঙ্গে বাবা লোকনাথের জীবন একটু হলেও আলাদা, কারণ বাড়ির লোকজনই লোকনাথের সন্ন্যাস জীবন চেয়েছিল। লোকনাথও ছোট থেকে সংসারের মায়া ত্যাগ করে ক্রমে ক্রমে সাধন জীবনে প্রবেশ করতে থাকে। সেই উলঙ্গ পাগল ছেলেকে দেখে প্রতিবেশীরা টিটকিরি করে, খারাপ কথা বলে কিন্তু তাতে লোকনাথের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই। কিন্তু মানুষের মধ্যে জন্মগতভাবে ঐশ্বরিক ক্ষমতা থাকলে, সেটা একদিন না একদিন প্রকাশিত হবেই, যেমনটা ঘটল সেইদিন, যেদিন গ্রামের পাঁচজন প্রধান পুরোহিত যজ্ঞ করার জন্য যজ্ঞপৈতে তৈরি করছিল।

দু’ঘণ্টা ধরে কিছুতেই জট খোলা যাচ্ছে না। এ রকম তো হয় না, পাঁচজন ব্রাহ্মণ একমনে জড়িয়ে যাওয়া পৈতের সুতোর জট খোলার চেষ্টা করছে, কিন্তু সুতো খোলা তো দূরের কথা, যত সময় যাচ্ছে সুতো যেন আরও জড়িয়ে যাচ্ছে অথচ এই সুতো খুলতে না পারলে যজ্ঞ হবে না। শুধুমাত্র যজ্ঞের জন্যই এই পৈতের সুতো আলাদা করে তৈরি করা হয়েছে, এ সুতো মন্ত্রপূত। পাঁচ ব্রাহ্মণ কী করবে ভেবে পাচ্ছিল না, তারা একপ্রকার বিধ্বস্ত। এ সময় একটি টিংটিঙে রোগা উলঙ্গ সাধক তাদের কাছে এসে তাদেরকে অবাক হয়ে দেখতে লাগল। হাসতে হাসতে বলল, ‘তোমরা কী করছ গো?’।

ব্রাহ্মণরা বিরক্তি সহকারে তার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এখন এখান থেকে যাও, তোমার সঙ্গে কথা বলার মতো সময় বা ইচ্ছে কোনোটাই আমাদের নেই’।

একগাল হাসি নিয়ে লোকনাথ বলল, ‘তোমরা শুধু শুধু সময় নষ্ট করছো, ওই জট পাকানো পৈতের সুতো কখনোই খুলবে না’।

ব্রাহ্মণরা তো রেগেই আগুন, তারা চিৎকার করে লোকনাথকে চলে যেতে বলল। লোকনাথ অবিচল, সে ব্রাহ্মণদের কাছে গিয়ে হঠাৎ করেই জড়িয়ে যাওয়া পৈতের সুতো নিজের হাতে তুলে নিল, তারপর সেটাকে দলা পাকিয়ে হাতের মুঠোর মধ্যে রেখে গায়ত্রী জপ করতে লাগলো। ব্রাহ্মণরা কী করবে বুঝে ওঠার আগেই লোকনাথ সুতোর দু’দিকের দুটো খুঁট ধরে একটা টান মারতেই ব্রাহ্মণরা অবাক, তারা দেখল জট পাকানো যজ্ঞের পৈতের সব জট ছেড়ে গেছে। এটা কি ম্যাজিক নাকি ঐশ্বরিক কোন ক্ষমতা!

লোকনাথের মুখে সেই সহজ সরল হাসি। পৈতের সুতো ব্রাহ্মণদের হাতে দিয়ে সাধক লোকনাথ বলে উঠলো …

‘রণে বনে জঙ্গলে যেখানেই বিপদে পড়িবে স্মরণ করিও, রক্ষা করিব।’

শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার ধ্যান ও স্তব (Lokenath Dhyan)

[বাংলা সরলার্থ ও টীকা-টিপ্পনীসহ দেওয়া হল]

ভক্তিময় ভাব-গ্রন্থনায়ঃ-শ্রী কমলেশ ধর

ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং লোকনাথং ,

ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবাত্মকম্।১

ত্রিধামাত্রা স্বপ্রকাশং ,

পূর্ণব্রহ্ম স্বরূপকম্।।২

আজানু-লম্বিত পাণিং(ভূজং),

অঙ্গেষু (চ) অরুণপ্রভাং।৩

অজিনশ্চ কৃত্তি আরূঢ়াং ,

দণ্ড-কমণ্ডুলু সুশোভিতম্।৪

পাদুকাংশ্চ আচমনীয়ং-পাত্রং ,

সন্নিধানে সুরক্ষিতং।৫

মানসঃমুদ্রা ধৃতং -নিত্যং ,

ব্রহ্মঃলীন যোগাবিষ্টং।।৬

শ্বেতাম্বর আবৃতকায়ং(কায়ার্ধ),

ক্ষণে বাপি পীতাম্বরম্।৭

অঙ্ক-আবৃত কটি -কেবলং ,

যথা তুল্য শিবশঙ্করম্।।৮

আশুতোষঃ – ভাবগ্রাহী ,

জটাজুট সমন্বিতম্।৯

সমাধিস্থেঃ যুগ্ম-কপর্দ ,

ব্রহ্মযোনি -সদাবৃতম্।।১০

যোগী-রূপং জগদগুরুং ,

ত্রিকালজ্ঞ সুরেশ্বরম্।১১

পুরুষং প্রকৃতিঞ্চৈব ,

স্থুলে-সুক্ষ্মে বিরাজিতম্।।১২

কুটস্থে গুপ্ত[গন্ধ]-তিলকং ,

কৃপাদৃষ্টি প্রক্ষেপিতং।১৩

স্মরণ্ মাত্র তেন দেহী ,

ভক্তস্য বিঘ্ন-ভয়াপহম্।।১৪

তাপনাশং ভয়হরং ,

বিপদ-বিঘ্নান-বিনাশিনে।১৫

প্রণত পালয় সুক্ষ্মাস্ত্বং ,

শ্রীলোকনাথ ব্রহ্মচারিণে।।১৬

গণেশ আদিত্যং বিষ্ণুং ,

শিব দুর্গা পুরুষোত্তমম্।১৭

স্থাবরং জঙ্গমং বাপি ,

ত্বংহি ভূমা ভূমঃ-বিগ্রহম্।।১৮

পরমঃ পরমেষ্ঠি চ ,

পরাপর গুরোরূপং।১৯

সৎ-চিৎ-আনন্দ স্বরূপায় ,

পুর্ণব্রহ্ম~রূপ স্বয়ং।।২০

বিশ্বহিতে অবতীর্ণং ,

পরমাত্মা সনাতনম্।২১

শরণাগতস্য আবাহনং তেন,

শ্রী লোকনাথঃ ত্রাণকারকম্।।২২

ওঁ নমো ভগবতে সর্ব্বদেব-দেবী স্বরূপায়

শ্রীশ্রী লোকনাথঃ ব্রহ্মচারিণে নমো নমঃ।।

ধ্যান-স্তবটির সরলার্থ ও টীকা-টিপ্পনীঃ-(Spirituality)

(১)ব্রহ্মা বিষ্ণু শিবাত্মারূপী লোকনাথকে নিত্য ধ্যান করি।

(২)ত্রিধামাত্রা=অ-উ-ম/বীজ-শক্তি-কীলক/স্বাহা-স্বধা-সম্বিৎ বা স্বয়ম্ভূ

পূর্ণব্রহ্মতত্ত্ব অর্থাৎ নিজে করুণারবশে স্বয়ং প্রকাশ না করলে কেউ

বুঝতে পারে না। (৩) আজানু = হাটু পর্যন্ত প্রলম্বিত , পাণি = হাত ,

অঙ্গেষু (চ) অরুণ প্রভাম্ = দেহের মধ্যে যেন সূর্য্য-কিরণের প্রভা ,

(৪) অজিন = মৃগ-চর্ম , কৃত্তি = বাঘের চামড়া , আরূঢ়া=উপবিষ্ট ও

দণ্ড-কমণ্ডুল সহকারে দৃশ্যমান (৫)পাদূকাদ্বয় ও আচমনীয় পাত্রটি

নিকটে রাখা হয়েছে। (৬) সর্বদা করতলে-করতল রেখে ব্রহ্ম ও

যোগ-ভাবে নিবিষ্ট আছো।।(৭)কখনো বা শ্বেতবস্ত্রে দেহের অর্ধাংশ

আবার কখনো রক্তাভহলুদ অম্বরে= পরিধেয় বস্ত্রে।(৮) কোমড়ের

কেবল নিম্নাংশটুকু এমনভাবে আবৃত যেন শিবের সাথে তুলনীয়।

(৯)আশুতোষ=দেবাদিদেব শিব খুব অল্পেই সন্তুষ্ট হন বলেই তিনি

আশুতোষ ; তুমি জটা-জুট সহকারে সেই প্রকারের ভাবসমন্বিত

(১০) সমাধি = ধ্যানমগ্ন বাহ্যজ্ঞান-শুণ্য ভাব , যুগ্ম কপর্দ = তোমার

ব্রহ্মতালুর উপরে কখনোবা এক ঝুঁটি আবার কখনোবা একজোড়া

জটা-ঝুঁটি {= যুগ্ম কপর্দ } দ্বারা ব্রহ্মতালু সদাবৃত । (১১) তুমি

যোগীরূপে জগদগুরু , ভূত-অতীত এবং ভবিষ্যৎ জান বলে

= ত্রিকালজ্ঞ,সুরেশ্বর=দেবতাদের ঈশ্বর,(১২)তুমি পুরুষ আবার তুমি

আদ্যাশক্তিরূপে [জয় মা লোকনাথ] ভক্তমনের গোচরে বা অগোচরে

সূক্ষ্মভাবে ও স্থুলভাবে { ত্রাণকর্তারূপে অহেতুকী করুণায় ধ্যানমগ্ন

বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীকে দাবানল(বনের আগুন)থেকে উদ্ধার করলে

(১৩)তোমার কপালে কখনোবা জলদ্বারা গুপ্ত তিলক, আবার যেন

চন্দন-কুঙ্কুমাদির তিলক, কুটস্থ= ভ্রূযুগলের মধ্যভাগ , কিন্তু তোমার

অন্তর্যামজ দৃষ্টি= কৃপা-করুণার আশীর্ব্বাদ দ্বারা ও (১৩,১৪) তোমার

নাম স্মরণকারীর কাতর আহবানমাত্র তাদের সকল ভয়-বিঘ্ন-বিপদ

নিবারনে স্থুল দেহ ছেড়ে সুক্ষ্মদেহে=দেহীরূপে(১৫,১৬)সেই প্রকারে

ক্লেশাদি=তাপাদি বিনাশ কর ও প্রণতগণকে=শরণাগতদের পালন কর।

(১৭) তুমি বিঘ্ননাশক-গণপতি ; পাপনাশক-আরোগ্যদাতা সূর্য; মুক্তিদাতা

ও বিপদবারণ মধুসূদন বিষ্ণু [ ফাসীঁর আসামী ডেঙ্গুকে এবং দাবানল

থেকে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীকে…….বিপদ হতে উদ্ধার ] ,শিবরূপে ত্রৈলঙ্গ

স্বামীতে লয় , তুমি যে মহামৃত্যুঞ্জয় অনেক ভক্তজনের নিকটে ;

মাতৃভাব ( =দুর্গা)ঃ:–গোয়ালিনী মাকে কালীরূপে প্রত্যক্ষ দর্শন- দান,

পুরুষোত্তমঃ-বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর নিকট সর্ব্বৈব দেবদেবীরূপে প্রকাশ

{বাবার সর্ব্বাঙ্গে ও পোশাক-পরিচ্ছেদে সমস্ত কক্ষটিই যেন সর্বপ্রকার

দেব-দেবীতে পূর্ণ} (১৮-২০) তুমি ভূমাপুরুষ কৃপাপূর্ব্বক ভূমিতে

অবতীর্ণ হয়েছো , তুমি স্থাবর তীর্থ- — তুমি জঙ্গম তীর্থ , তুমি

ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবকল্পে যথাক্রমে উপাধ্যায় গুরু, কুল গুরু , মন্ত্র গুরু ,

সিদ্ধ গুরু , সন্ন্যাস গুরু এবং ধর্মীয় জাত-পাতের গণ্ডী ছেড়ে

সকলের নিকটে “ব্রহ্মভূত”পুরুষরূপে পূর্ণব্রহ্মতত্ত্ব প্রকাশে আনন্দময়

মূর্ত –বিগ্রহ (২১) হে পরমাত্মা সনাতন পুরুষ , তুমি বিশ্বের (হিত)

অর্থাৎ কল্যাণের জন্য , মঙ্গল সাধনের জন্য অবতীর্ণ হয়েছ (২২)তাই

শরণাগত ভক্তজনের আকুতি–“হে বাবা লোকনাথ”! তুমি ত্রাণকারীরূপে

আমাদের উদ্ধার করো। অতএব ,ভগবত শাস্ত্রসম্মত সকল প্রকারের

দেব-দেবী স্বরূপে নতমস্তকে তোমাকে প্রণাম করি।

লোকনাথ ভক্ত সমীপে প্রার্থনা,ধ্যান-স্তবটিতে ভাব-ভক্তিটাই আসল বিচার্য।

বাবা লোকনাথের (Baba Lokenath) সকল ভক্ত চরণে প্রণাম।(Spiritual)

শ্রী কমলেশ ধর-আজীবন সদস্য ও উপদেষ্টা,

শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবাশ্রম-চট্টগ্রাম কেন্দ্র,

ফতেয়াবাদ-নন্দীরহাট, চট্টগ্রাম,বাংলাদেশ।।

উপদেষ্টা, লোকনাথ ব্রহ্মচারী সেবক ফোরাম

চট্টগ্রাম ও ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব লোকনাথ

[ ইসলোক],চট্টগ্রাম,বাংলাদেশ (Bangladesh)।

অন্যান্য লোকনাথ ধাম ও মন্দির

চট্টগ্রাম ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *