একেই বলে অফবিট নিউজ। চোখে যা দেখি,সব সময় তা মেলে না। এই ঘটনাই ঘটলো শিক্ষিকা আলোলিকা ঘোষের সঙ্গে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পশু প্রেমী আলোলিকার আছে অনেক পোষ্য। পশুপ্রেমী হিসেবেও পাড়ায় পরিচিতি রয়েছে তাঁর। পথকুকুরের অসহায় ছানা ঘরে এনে পুষেছেন। আরও কয়েকটি পোষ্য রয়েছে তাঁর। (Cat)
তেমনই দিন পনেরো আগে নতুন এক অতিথিকে বাড়িতে তুলেছিলেন তিনি। বাড়ির পাশে খড়ের পালুইয়ের নিচে লাগাতার মিউ মিউ ডাক শুনে ছুটে গিয়েছিলেন। ছোট্ট ‘বিড়াল ছানা’টিকে দেখে বড়ই মায়া হয় আলোলিকা দেবীর। এক মুহূর্ত দেরি না করে তাকে ঘরে নিয়ে আসেন। শীতে কম্বলের নিচে শুতেও দেন।তারপর থেকে বেশ ছিল ওই বিড়াল ছানা। (Burdwan)
এরপর ঘটনাক্রম চলে গেল অন্যদিকে। বিড়াল ছানাকে নিয়ে সমস্যায় পড়েন তিনি। সে খাওয়া-দাওয়া কিছুই করছিল না। মুখ একেবারে শুকিয়ে ছোট হয়ে যায়। চিন্তিত হয়ে পড়েন হুগলির ধনিয়াখালির ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষিকা আলোলিকা। ওই ছানার ছবি তুলে পাঠান এক পশু চিকিৎসককে। তাকে সুস্থ রাখতে কী করা প্রয়োজন, পরামর্শ চেয়েছিলেন।
কিন্তু চিকিৎসকের উত্তর শুনে আঁতকে ওঠেন ওই শিক্ষিকা। ১৫ দিন ধরে যাকে বাড়িতে পুষেছেন, সে আসলে বিড়াল ছানাই নয়! সে খটাশ (ভাম)। ইংরেজিতে যা ইন্ডিয়ান সিভেট নামে পরিচিত। অথচ এক মুহূর্তের জন্যও এ নিয়ে সন্দেহ হয়নি তাঁর।দেখতে অবিকল বিড়াল ছানার মতো। হতাশ হয়ে পড়েন ওই শিক্ষিকা। (Bham) (Gondho Gokul)
তবে তিনি ঠিক কাজটি করলেন। প্রিয় পোষ্যকে ঠিক নিজের জায়গায় পৌঁছে দেয়। তিনি জানেন ‘বন্যেরা বনে সুন্দর।’ (Civet) তারপর সত্যিটা জানার পর আর দেরি করেননি। সোমবার বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই ভামকে তাদের হাতে তুলে দেন আলোলিকা ঘোষ। (Alololika Ghosh)
আপাতত ওই ছানাটি বর্ধমানের রমনাবাগানে (Ramnabagan Forest) বনকর্মীদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আপাতত সে সুস্থ আছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ১৫ দিনেই ওই ছানার প্রতি একটা মায়া পড়ে গিয়েছিল। তাই মন খারাপ ওই শিক্ষিকার।তবুও এখন তিনি শান্তিতে আছেন।খটাস তার নিজের জায়গা ফিরে পাবে।