www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 7, 2024 3:20 pm
গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi)

শ্রী গণেশ ভাদ্রপদ শুক্লা চতুর্থীর দিন জন্মগ্রহণ করেন আর তাই এই বিশেষ দিনটিতে, “গণেশ চতুর্থী' বা 'বিনায়ক চতুর্থী' পালন করা হয়। পৌরাণিক রীতি এবং বিশ্বাস অনুসারে, বিঘ্নহরতা শ্রী গণেশ ভাদ্রপদ শুক্লা চতুর্থীর দিন জন্মগ্রহণ করেন আর তাই এই বিশেষ দিনটিতে, “গণেশ চতুর্থী' বা 'বিনায়ক চতুর্থী' পালন করা হয়।

গণেশ চতুর্থীর তিথি

ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এই বছর গণেশ চতুর্থী পড়েছে ৩১ অগস্ট, বুধবার। চতুর্থী তিথি শুরু হবে ৩০ অগস্ট, দুপুর ৩টা ৩৩ মিনিটে এবং  চতুর্থী তিথি শেষ হবে ৩১ অগস্ট, দুপুর ৩টা ২২ মিনিটে। মধ্যাহ্ন গণেশ পূজা মুহুর্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী  সকাল ১০টা ২১ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত।

উৎসবের সমাপ্তি ও বিসর্জন

দশ দিন ব্যাপী গণেশ (Ganesh) উৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। দশম দিনে গণপতি বিসর্জন হয়। এবার অনন্ত চতুর্দশী পড়েছে ৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার। এই দিনই গণেশ প্রতিমার বিসর্জন হবে।

এই বিসর্জন নিয়ে একটি কাহিনী আছে, গণেশ চতুর্থীর দিন (Ganesh Chaturthi) থেকেই মহর্ষি বেদব্যাস গণেশকে মহাভারতের কাহিনি শোনানো শুরু করেন। টানা ১০ দিন পর্যন্ত বেদব্যাস চোখ বন্ধ করে গণেশকে মহাভারতের (Mahabharat) কাহিনি শোনান। মহর্ষির কথামতো বিশ্রাম না করেই গণেশ মহাভারত লিখতে থাকেন। অবশেষে ১০ দিন পর কাহিনি শেষ হলে বেদব্যাস চোখ খুলে দেখেন লাগাতার ১০দিন ধরে লেখার কারণে গণেশের উপর ধুলো-ময়লার স্তর পড়ে গেছে। নিজেকে পরিষ্কার করতে দশম দিনে গণেশ সরস্বতী নদীতে স্নান করেছিলেন। এই দিনটিই ছিল অনন্ত চতুর্দশী। আর সেই কারণে এই তিথিতে গণেশ মূর্তি বিসর্জন করা হয়।

গণেশ চতুর্থী (দেবনাগরী: गणेश चतुर्थी, Gaṇeśa Caturthī) বা গণেশোৎসব হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা-উৎসব। শিব ও পার্বতী পুত্র গজানন গণেশ হিন্দুদের বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই দিন গণেশ তার ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। সংস্কৃত, কন্নড়, তামিল ও তেলুগু ভাষায় এই উৎসব বিনায়ক চতুর্থী বা বিনায়ক চবিথি নামেও পরিচিত। কোঙ্কণি ভাষায় এই উৎসবের নাম চবথ ( चवथ)। অন্যদিকে নেপালি ভাষায় এই উৎসবকে বলে চথা (चथा)।

সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয় এই উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের পূজা বিধেয়। সাধারণত এই দিনটি ২০ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মাঝে কোনো এক দিন পড়ে। দশদিনব্যাপী গণেশোৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষ চতুর্থী মধ্যাহ্নব্যাপিনী পূর্বাবিদ্ধ – এই পূজার প্রশস্ত সময়। চতুর্থী দুই দিনে পড়লে পূর্বদিনে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নের সম্পূর্ণ সময়ে চতুর্থী বিদ্যমান হলেও পূর্বদিন মধ্যাহ্নে এক ঘটিকার (২৪ মিনিট) জন্যও যদি চতুর্থী বিদ্যমান থাকে তবে পূর্বদিনেই গণেশ পূজা হয়।

গণেশ পূজা ভারতের সর্বত্র অনুষ্ঠিত হলেও এই উৎসব মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু,অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত ও ছত্তিশগড় রাজ্যে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। ভারতের বাইরে নেপালে এই উৎসব মহাসমারোহে পালিত হয়। শ্রীলঙ্কায় তামিল হিন্দুরাও এই উৎসব পালন করে থাকেন। (সূত্রঃ উইকিপেডিয়া)

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *