কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদে বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর মুসলমানদের জন্য বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। এবার হিন্দুদের জন্য ‘দুর্গা অঙ্গনা’। এই মন্দির মসজিদের খেলা চলবে। নিউটাউন বাসস্ট্যান্ডের উল্টোদিকে অ্যাকশন এরিয়া-১-এ প্রায় ১৭ একরেরও বেশি জমিতে গড়ে উঠতে চলেছে এই ‘দুর্গা অঙ্গন’। দিঘার জগন্নাথ মন্দির নির্মাণকারী হিডকোই এবার ‘দুর্গা অঙ্গন’ নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে। আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৬২ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। গত ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জগন্নাথধামের মতো ‘দুর্গা অঙ্গন’ তৈরি হবে, যাতে মানুষ সারা বছর সেখানে আসতে পারেন। সেই মতো নিউটাউনে জায়গা বেছে নেওয়া হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অভিনব গবেষণাকেন্দ্র হিসাবেই গড়ে উঠতে চলেছে ‘দুর্গা অঙ্গন’।
দুর্গা অঙ্গনে’ থাকবে একটি সংগ্রহশালা। সেখানে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে। দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত থাকা উৎকর্ষের সেরা কিছু শিল্পও সেখানে রাখার পরিকল্পনা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, ভবিষ্যতে ‘দুর্গা অঙ্গন’ রাজ্যের অন্যতম বড় পর্যটন ও সাংস্কৃতিক আকর্ষণ কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। সেই অনুযায়ীই পরিকাঠামো তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় কাঠামো নয়, বরং বাংলার শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি স্থায়ী কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠবে এই ‘দুর্গা অঙ্গন’। মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুর্গা অঙ্গনে’র শিলান্যাস কর্মসূচি ঘিরে রবিবার নিউটাউন জুড়ে ছিল সাজ সাজ রব।
