সরস্বতী পুজোর ইতিহাস মূলত বৈদিক যুগ থেকে শুরু হয়েছে, যেখানে দেবী সরস্বতীকে জ্ঞান, সঙ্গীত, শিল্প এবং প্রজ্ঞার দেবী হিসেবে পূজা করা হত। এই দেবীর পূজা বসন্ত পঞ্চমীর দিনে অনুষ্ঠিত হয়, যা মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম তিথিতে পড়ে। এই উৎসবটি কেবল ধর্মীয় তাৎপর্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি শিক্ষা ও জ্ঞানের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়, বিশেষ করে শিশুদের বর্ণমালা শেখানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবেও এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়।
- সরস্বতী পুজোর উৎপত্তি ও বিকাশ বৈদিক যুগ: বৈদিক যুগে, সরস্বতী ছিলেন মূলত নদী ও পবিত্রতার দেবী। ধীরে ধীরে তিনি জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
- পৌরাণিক কাহিনী: মৎস্য পুরাণ অনুসারে, ব্রহ্মা যখন বিশ্ব সৃষ্টি করছিলেন, তখন তাঁর মুখ থেকে সরস্বতীর জন্ম হয় এবং তিনি সৃষ্টিতে ছন্দ ও শৃঙ্খলা নিয়ে আসেন।
- বসন্ত পঞ্চমীর সঙ্গে সম্পর্ক: বিশ্বাস করা হয়, বসন্ত পঞ্চমীর দিন দেবী সরস্বতীর জন্ম হয়েছিল। তাই এই দিনটিকে বসন্তের আগমন এবং সরস্বতীর আরাধনার জন্য বিশেষভাবে উৎসর্গ করা হয়।
- প্রতীকী তাৎপর্য: সরস্বতীকে বীণা হাতে এবং বইয়ের সাথে চিত্রিত করা হয়, যা জ্ঞান ও সঙ্গীতের প্রতীক। এই দিনটিতে অনেক ছাত্রছাত্রী তাদের বইপত্র দেবীর সামনে রেখে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করার প্রতিজ্ঞা করে।
- আধুনিক যুগে সরস্বতী পূজা
সর্বজনীন উৎসব: একসময় এটি কেবল নির্দিষ্ট শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, পরবর্তীকালে এটি একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। - শিক্ষার প্রতীক: এটি এখন একটি প্রধান শিক্ষামূলক এবং সাংস্কৃতিক উৎসব।
- ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব: এটি জ্ঞান, শিল্পকলা এবং শিক্ষার প্রতি সম্মান জানাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে পালিত হয়।
