দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর উদ্বোধনপর্ব শেষে করে এবার জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন হয় ১৭০০ দশকে। তারপরই কৃষ্ণনগর থেকে চন্দননগর বাঁশবেড়িয়া থেকে কলকাতা এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এই জগদ্ধাত্রী পুজো। এবার কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় আরও এক নতুন পালক জুড়তে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে কৃষ্ণনগরের বেশ কিছু ক্লাব ও বারোয়ারির পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে ভার্চুয়ালি। আজ কলকাতার পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই কৃষ্ণনগরের বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করবেন। কৃষ্ণনগরের অন্যতম ঐতিহ্যমন্ডিত এবং প্রাচীন খ্যাতনামা পুজো চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমা। দিনগুলিতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় বুড়িমাকে দেখার জন্য। ভার্চুয়ালি মুখ্যমন্ত্রী দর্শন করবেন এই প্রতিমার। সেই দিনই কৃষ্ণনগরের পাত্র বাজারের স্বীকৃতি ক্লাব, এবং বাঘাডাঙা বারোয়ারি-সহ আরও দু’একটি পুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি করবেন বলে জানা গিয়েছে প্রশাসনিক সূত্রে।
চাষাপাড়া বারোয়ারির সম্পাদক গৌতম ঘোষ জানিয়েছেন, “এবারে জগৎখ্যাত বুড়িমা দর্শন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, এটা আমাদের কাছে বড় পাওনা৷ এলাকাবাসী তথা কৃষ্ণনগরবাসী এতে ভীষণ আনন্দিত উৎসাহিত৷ আমাদের আরও আশা যদি মুখ্যমন্ত্রী কোন বছর সময় পেয়ে নিজে আমাদের বুড়িমাকে দর্শন করতে আসেন তাহলে আমরা আরও আনন্দিত হব“। কৃষ্ণনগরের পাত্রবাজার স্বীকৃতি ক্লাবের সম্পাদক অভিনব ভট্টাচার্য্য বলেন, এবার আমাদের এই পুজো ২৯ তারিখে ভার্চুয়ালি মুখ্যমন্ত্রী প্রতিমা দর্শন করবেন। এই নিয়ে আমাদের এলাকাবাসী ভীষণভাবে উৎসাহিত ও আমাদের আনন্দ আরও শতগুণ বেড়ে গেছে এবং সবার সঙ্গে এই খুশির মুহূর্ত ভাগ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এ বিষয়ে বাঘাডাঙা বারোয়ারি সম্পাদক সুমিত ঘোষ জানান, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পুজো উদ্বোধন করাতে পুজো নিয়ে আমাদের উৎসাহ আনন্দ উদ্দীপনা কয়েক শতগুণ বেড়ে গিয়েছে।”
