ট্রাম্প দাবি করেই আসছে যে তাকে শান্তিতে নোবেল দিতে হবে। এমন কি ইজরাইল ও পাকিস্তানকে দিয়ে সেই প্রস্তাব তিনি পাঠিয়েছিলেন নোবেল কমিটির কাছে। তবুও কোনো লাভ হলো না। শান্তির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল ভেনেজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদোকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন শান্তির নোবেল পেলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশেষজ্ঞরা এর পিছনে ৪টি কারণ খুঁজে পাচ্ছেন।
১) সময় – এক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। শান্তির নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল ভেনেজুয়েলার মারিয়া করিনা মাচাদোকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন শান্তির নোবেল পেলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২) নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালে যাঁরা নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁদের এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ২০২৪ সালের কাজের ভিত্তিতে। অথচ এই সময়ে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র, তখন হোয়াইট হাউসে তাঁর পা পড়েনি। ৭টি যুদ্ধ থামানো তখনও অনেক দূরে। এই হিসেবে ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
৩) ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন ইজরায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত, ইউক্রেন, আমেরিকা, সুইডেনের বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি একাধিকবার তার হয়ে সওয়াল করেছেন। ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। তবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অর্থ এটা নয় যে তিনি নোবেল পুরস্কারের লড়ায়ে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হবেন। ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। নোবেল কমিটি মনোনীত কোনও প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে আনে না। শুধুমাত্র বিজেতার নামই প্রকাশ্যে আনে।
৪) এদিন নোবেল কমিটির তরফে শান্তির নোবেল পুরস্কার ঘোষণার সঙ্গেই স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে কেন ট্রাম্প পেলেন না নোবেল। কমিতির তরফে জানানো হয়, স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্রই প্রথম শর্ত। তবে আমরা এমন একটি পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে গণতন্ত্র পিছিয়ে পড়েছে। কতৃত্ববাদ শাসনব্যবস্থার নীতিকে লাগাতার চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে এবং হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। নোবেল পুরস্কারের জন্য মাচাদোর নাম ঘোষণা করে কমিটি জানায়, মাচাদো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লাগাতার কাজ করে চলেছেন।