পাখির সঙ্গে আদিবাসীদের পুজোর একটা সম্পর্ক থাকলেও আদিবাসীরা কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো পাখির পুজো করে না। বিভিন্ন উপজাতি বিভিন্ন পাখি বা প্রকৃতির অন্যান্য উপাদানকে প্রতীকীভাবে পূজা করে থাকে, যেমন ‘বিজু পেইক’ বা বিজু পাখি চাকমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।
- আদিবাসীদের পাখি ও প্রকৃতির পুজো: বিজু পেইক: চাকমা সম্প্রদায়ের কাছে ‘বিজু পেইক’ (বিজু পাখি) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এই পাখি বিজু বা চৈত্রসংক্রান্তি উৎসবের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে এবং এর সুমধুর কলতান নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সাহায্য করে। প্রকৃতির প্রতি সম্মান: অনেক আদিবাসী উপজাতি প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করে এবং তাদের উপাসনা প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে হয়। টোটেম: কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু পাখি তাদের টোটেম হিসেবে পরিচিত। টোটেম হলো একটি প্রতীক যা তাদের গোষ্ঠী বা পরিবারের পরিচয় বহন করে, এবং এটি তাদের শ্রদ্ধার প্রতীক হতে পারে।
- অন্যান্য পূজা-পার্বণ:
হুদূরদুর্গা পুজো: সাঁওতাল, মুন্ডা, ওরাওঁ ইত্যাদি উপজাতিদের মধ্যে প্রকৃতির পূজার অংশ হিসেবে ‘হুদূরদুর্গা’ বা ‘সাঁওতালি দুর্গাপূজা’ পালিত হয়। *গাছ ও বনের পূজা: আদিবাসীরা প্রায়শই গাছ বা বনের দেবতাকে পূজা করে থাকে, যেমন ‘সারহুল উৎসব’ যা মূলত বৃক্ষ পূজার সঙ্গে যুক্ত। - পশু বলি: কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ে নির্দিষ্ট দেবতাকে খুশি করতে শুকর, মুরগি বা হাঁস বলি দিয়ে পূজা করা হয়। সুতরাং, আদিবাসীরা কোনও একটি নির্দিষ্ট পাখির পুজো করে না, বরং তারা পাখি বা প্রকৃতির অন্যান্য উপাদানকে তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের অংশ হিসেবে পূজা করে থাকে।