-ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
পাপাঙ্কুশা একাদশী – সেই ব্রত যা পালনে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি সম্ভব হয় পুণ্য অর্জন। বিশ্বাস করা হয় – এই ব্রত পালনে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে বৈকুণ্ঠ সুখ অর্জনে সমর্থ হওয়া যায়।
আশ্বিন শুক্লপক্ষের একাদশী পাপাঙ্কুশা একাদশী। এই একাদশীকে পাশাঙ্কুশা একাদশীও বলা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই পাপাঙ্কুশা একাদশীর বিশেষ তাৎপর্য আছে। এই একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পদ্মনাভ রূপের আরাধনা করা হয়।
এই একাদশীর মাহাত্ম্য ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণিত হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় – এই একাদশী পালন করলে ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ কৃপা পাওয়া যায়। জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে করা পাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এই একাদশী এতোটাই ফলপ্রদ যে – শুধুমাত্র এই একাদশীর মাহাত্ম্য শ্রবণ করলেই যমদণ্ড থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
এই একাদশীতেও রাত্রি জাগরণ করার বিধান আছে। বলা হয় – এর ফলে বিষ্ণুলোকে গতি লাভ সম্ভব।
পাপাঙ্কুশা একাদশীতে দান করারও বিধান আছে। এক্ষেত্রে স্বর্ণ, গাভী, ছত্র, অন্ন, বস্ত্র, জল, পাদুকা ইত্যাদি দানের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে – এইসব দান করলে যমালয়ে গমন করতে হয় না।