পুজোর নির্দিষ্ট কোনও ঐতিহাসিক উৎস নেই, তবে এটি একটি প্রাচীন হিন্দু প্রথা যেখানে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করে ধন, সম্পদ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। দেবী লক্ষ্মী হলেন হিন্দুধর্মে সম্পদ, ভাগ্য, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবী এবং এই পুজোটি মূলত আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয়। এটি বাংলার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা বাঙালি হিন্দু ঘরে ঘরে পালিত হয়ে আসছে।
লক্ষ্মী পুজো সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য –
- ঐতিহাসিক উৎপত্তি: লক্ষ্মী পুজোর নির্দিষ্ট ইতিহাস জানা না গেলেও, এটি বৈদিক যুগ থেকেই প্রচলিত বলে মনে করা হয়।
- পৌরাণিক বিশ্বাস: পুরাণ অনুসারে, দেবী লক্ষ্মীই হলেন সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী, যিনি ভগবান বিষ্ণুর সহধর্মিণী।
- কোজাগরী অর্থ: “কোজাগরী” মানে “কে জেগে আছ?”। কথিত আছে, এই রাতে দেবী লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখেন কে জেগে আরাধনা করছে।
- উপাসনার সময়: বাঙালি হিন্দুরা সাধারণত আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা করে থাকে। তবে এর পাশাপাশি ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি এবং দীপাবলিতেও লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।
- আরাধনার উদ্দেশ্য: এই পুজো করে মানুষ দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করে, যা ঘরে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
- বৈশিষ্ট্য: এই উৎসবে শুধু নারীই নয়, পুরুষরাও অংশ নেয়। দেবীর আরাধনার জন্য ধান, কড়ি, হলুদ, টাকা, পান এবং অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হয়।
- অন্যান্য বিশ্বাস: কেউ কেউ মনে করেন, কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে নারায়ণ পুজো করলে সারা বছর দেবীর কৃপা পাওয়া যায়।