তিনি একজন সাধারণ মানুষ, তবুও তিনি নিজের স্বার্থের বাইরে বেরিয়ে প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন। এই মানুষটির নাম দীপক দাস, সবার কাছে তিনি “বুধো দা” নামে পরিচিত। সোনারপুরের এই মানুষটি, গত ২৫ বছর ধরে নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে খাওয়াচ্ছেন ভবঘুরে, অসহায় ও সহায়সম্বলহীন মানুষদের। ২০০০ সালে শুরু হয়েছিল এই অনন্য যাত্রা। আজ তা রূপ নিয়েছে এক মানবিক আন্দোলনে। সোনারপুর, সুভাষগ্রাম, কোদালিয়া, মল্লিকপুর, গড়িয়া, পাটুলী – বিস্তীর্ণ অঞ্চলের দেড়শোর বেশি ভবঘুরে মানুষ প্রতিদিন অপেক্ষা করে থাকেন বুধো দার জন্য।
সকাল হলেই তিনি বাজারে যান, নিজে হাতে রান্না করেন, আর তারপর নিজের ছোট মারুতি ভ্যানে খাবার নিয়ে রওনা দেন সেইসব মানুষের কাছে, যাদের কেউ নেই। তার গাড়ির হর্ন শুনলেই ফুটপাথে, গলির মোড়ে, রেল স্টেশনের ধারে থাকা মানুষগুলোর চোখে আসে আশার আলো। খালি পেটের মানুষগুলোর কাছে বুধো দা মানেই ঈশ্বরের দূত। তিনি শুধু ভবঘুরেদেরই নন, অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধার ঘরেও পৌঁছে দেন রান্না করা খাবার। তার ভালবাসা, তার ত্যাগ, তার কাজ সত্যিই এক নিঃশব্দ বিপ্লব। বুধো দা আমাদের সমাজের এক রিয়েল হিরো। যেখানে মানুষ স্বার্থে অন্ধ, সেখানে তিনি আশার আলো।