ভারতে ঝাড়খন্ড (Jharkhand) ও পশ্চিমবঙ্গ (West bengal) মূলত আদিবাসী (Adivasi) সম্প্রদায় অধ্যুষিত। সেই অঞ্চলের আদিবাসীরা হাজার হাজার বছর ধরে নিজেদের মতো ধর্মাচরণ করে আসছে। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে তার কোনো স্বকৃতি নেই। কিছুদিন আগে ঝাড়খন্ড বিধানসভায় একটি আইন পাশকরা হয় যে এই আদিবাসী ধর্ম অর্থাৎ ‘সার্না’ ধর্মকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গত মাসে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভাতেও একই বিল পাশ করা হয়।
এখন প্রশ্ন, কী এই ‘সার্না’ ধর্ম?
সার্না ধর্মগুরু (Sarna Priest) টিগ্গা বলেন, “ভগবান ধর্মেশ, সিংবোঙ্গা, হিল্লা মারাংবুরুর উপাসনা যারা করে, তারাই সার্না ধর্মাবলম্বী। সার্নার আরেক নাম হল সৃষ্টি। জল, বায়ু, অগ্নি, ভূমি এবং আকাশ – এই পাঁচটি মূল উপাদানের মাধ্যমে যে সৃষ্টি, তারই উপাসক আমরা,” টিগ্গার এই ব্যাখ্যায় আছে উদার ধর্মবোধের কথা।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে সার্না শব্দটি ওঁরাও জনজাতির মানুষ ব্যবহার করেন। উপাসনাস্থল বোঝাতে কিন্তু সাঁওতাল, হো, মুন্ডারি ইত্যাদি জনজাতির ভাষায় উপাসনাস্থলের আলাদা নাম আছে। যে উপাসনাস্থলে প্রকৃতিরূপী ভগবানকে আদিবাসী মানুষ অনুভব করেন, সেটাই সার্না। তার মানে সার্না ধর্ম মূলত প্রকৃতি পূজা।
হিন্দু ধর্মও প্রকৃতি পূজার অন্তর্গত। তাই গাছ(বিল্ব, তুলসী,আম্র পললব ইত্যাদি) হিন্দুদের পুজোর (Spiritual) অপরিহার্য অঙ্গ। আদিবাদীরা গভীর জঙ্গলে কোনো একটা বড়ো গাছের তলায় গিয়ে সেই গাছে সিঁদুর মাখিয়ে গাছের পাতায় উপাচার হিসাবে ফল ও ফুল প্রদান করে। সেই আদিবাসী ধর্ম এবার ভারতের সপ্তম স্বীকৃত ধর্ম হতে চলেছে। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এর পরেই আসছে ‘সার্না’ ধর্ম। (Hinduism) (Muslim) (Christanity)
জয় সার্না ধর্ম।spiritual,spirituality,sarna,adivasi,jharkhand,west bengal