আর মাত্র কয়েকদিন পরেই বড়দিন – মহাপ্রভু যিশুর জন্মদিন। খ্রিস্টানদের জীবনের অন্যতম পবিত্র দিন। মানবজাতিকে রক্ষা করতে এই দিনেই ক্রুশে প্রাণ বিসর্জন করেছিলেন যিশু খ্রিস্ট। প্রায় ছ’ঘন্টা ক্রুশে ঝুলেছিলেন তিনি। এই সময়ে তীব্র যন্ত্রণার মধ্যেই যিশু সাতবার কথা বলেছিলেন। খ্রিস্টানদের জীবনে এই সাতটি বাণীর গুরুত্ব অসীম। সেই সাতটি বাণী হলো –
১) পিতা এদের ক্ষমা করো, কারণ এরা কী করছে এরা জানে না- ক্রুশ থেকে এটাই ছিল যিশুর প্রথম বাণী।
২) আজই তুমি আমার সঙ্গে পরমদেশে যাবে: যিশুর সঙ্গে আরও দুই জঘন্য অপরাধীকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দুই অপরাধীর মধ্যে একজন যিশুর আদর্শ গ্রহণ করেছিল। তার জীবনের সকল অপরাধ ক্ষমা করে যিশু বলেন, মৃত্যুর পরে সে অবশ্যই স্বর্গে যাবে।
৩) হে নারী, ওই দেখ তোমার পুত্র: যিশুকে যখন ক্রুশে দেওয়া হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মা মেরি। যিশুর বাকি শিষ্যরা পালিয়ে গেলেও ক্রুশের তলায় দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর প্রিয় শিষ্য যোহন। ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় সেই প্রিয় শিষ্যের হাতেই মাকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে যান যিশু।
৪) ঈশ্বর তুমি কেন আমাকে পরিত্যাগ করেছ: ঈশ্বরের পুত্র হিসাবেই এই পৃথিবীতে এসেছিলেন যিশু, এমনটাই মনে করেন খ্রিস্টানরা।
৫) আমার পিপাসা পেয়েছে।
৬) সমাপ্ত হল: যিশু জল খেতে চাইলেও তাঁকে জল দেওয়া হয়নি। বাইবেল অনুযায়ী, টক আমলকির রসের মতো কোনও পানীয় তুলে দেওয়া হয় যিশুর মুখে। সেই পানীয়ই গ্রহণ করেন তিনি। তারপর বলেন, সমাপ্ত হল।
৭) তোমার হাতে আমার আত্মা সমর্পণ করি: ক্রুশের উপর থেকে এটাই যিশুর শেষ কথা। দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা সময় ক্রুশে ঝুলে থাকার পর যিশু বুঝেছিলেন, এবার তাঁর সময় ফুরিয়ে গিয়েছে।
