আমরা সাধারণত পূজা পার্বন ও অন্যান্য অনেক অনুষ্ঠানে চন্দন ব্যবহার করি। চন্দন হিন্দুদের কাছে খুবই পবিত্র। কিন্তু কোন পুজোতে, কোথায় ও কখন কোন চন্দন ব্যবহার করা উচিত তা নিয়ে শাস্ত্রে কিছু বিধান আছে।
** শ্বেতচন্দন বা সাদা চন্দন: শান্তির বাহক সাদা চন্দনকে শীতলতার প্রতীক মনে করা হয়। জ্যোতিষ মতে, এটি মনকে শান্ত রাখে এবং একাগ্রতা বাড়ায়।
- মহাদেব ও শ্রীবিষ্ণু: মহাদেব শীতলতা পছন্দ করেন, তাই শিবলিঙ্গে শ্বেতচন্দনের তিলক দেওয়া অত্যন্ত শুভ। একইভাবে ভগবান বিষ্ণু ও শ্রীকৃষ্ণের পুজোয় সাদা চন্দন ব্যবহার করলে সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।
- গ্রহ শান্তি : : কোষ্ঠীতে চন্দ্র বা শুক্র অশুভ থাকলে সাদা চন্দনের তিলক পরার পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা। ** রক্তচন্দন বা লাল চন্দন: শক্তির আধার লাল চন্দন বা রক্তচন্দনকে তেজ ও শক্তির প্রতীক মনে করা হয়। মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে এর সরাসরি সংযোগ রয়েছে। *দেবী শক্তি: মা দুর্গা, মা কালী বা যে কোনো দেবী শক্তির পুজোয় লাল চন্দন অপরিহার্য। শক্তির আরাধনায় এই চন্দন ব্যবহার করলে ভক্তের সাহস ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
- হনুমান ও গণেশ: বজরংবলী এবং গণপতির পুজোয় রক্তচন্দন ব্যবহারের বিধান রয়েছে। এটি জীবনের বাধা-বিপত্তি দূর করতে সাহায্য করে। জ্যোতিষীদের পরামর্শ, “আপনি যদি আধ্যাত্মিক উন্নতি ও মানসিক শান্তি চান, তবে সাদা চন্দন সেরা। আর যদি শত্রু বিজয়, কঠোর পরিশ্রম বা শক্তি অর্জন আপনার লক্ষ্য হয়, তবে লাল চন্দন বেশি ফলদায়ক।”
