তুরস্ক ভ্রমণে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক ব্রিটিশ তরুণীর। পরে দেহ দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁর স্বামী জানতে পারলেন স্ত্রীর শরীরে নাকি হৃদপিণ্ডই নেই! তাহলে কি তরুণীর হৃদয় চুরি করল তুরস্ক? পাচার চক্রের কাজ নয় তো? এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। বেথ মার্টিন ও লুক মার্টিন তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে তুরস্কে গিয়েছিলেন ছুটি কাটাতে। গত ২৭ এপ্রিল তাঁরা তুরস্কে যান। পরের দিন অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল অসুস্থ বোধ করেন বেথ। ২৮ বছর বয়সি ওই তরুণীকে তুরস্কের একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বেথের। লুক দাবি করেন, অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেনি তুরস্ক প্রশাসন।
পরে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্ত্রীর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি। কিন্তু স্ত্রীর দেহ দেশে ফেরত আনার পরই চক্ষু চড়কগাছ হয় লুকের। ব্রিটিশ সরকারের তরফে তাঁকে জানানো হয় বেথের শরীরে হৃদপিণ্ডই নেই! বেথের মৃতদেহে হৃদপিণ্ড না থাকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, একসঙ্গে শরীরের একাধিক অঙ্গ কাজ না করায় ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃত্যুর কারণ বিশদে বলা হয়নি। এদিকে তুরস্ক প্রশাসন দাবি করেছে, মহিলার মৃত্যুর পর কোনও অস্ত্রপচার হয়নি। যদিও বেথের স্বামী লুকের অভিযোগ, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য করেনি তুরস্ক প্রশাসন। সব মিলিয়ে তরুণীর মৃ্ত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে কুয়াশা।