মানসিক শান্তি এবং সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করার স্থান এই বেডরুম ঘর। তাই এই ঘরের দেওয়ালের রং এমন হওয়া উচিত যা মনকে প্রশান্ত কর। ঘুমের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে এবং দাম্পত্য বা পারিবারিক সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাস্তু মতে বেডরুমে ভুল রং করালে তা দাম্পত্য কলহের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কোন রং করাবেন? কোন রং বাদ দেবেন?
** বেডরুমের রং কেমন হওয়া উচিত-
১। হালকা নীল বা আকাশী নীল – এই রং প্রশান্তির প্রতীক। মনকে ঠান্ডা রাখে, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমের গুণমানের উন্নতি হয়। পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিকের বেডরুমে এই রং বিশেষভাবে উপযোগী।
২। হালকা গোলাপি – গোলাপি রং প্রেম, কোমলতা এবং সৌহার্দ্যের প্রতীক। সদ্য বিবাহিত দম্পতি বা যাঁদের দীর্ঘ দিন ধরে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা গেছে তাঁরা বেডরুমে এই রং করে দেখতে পারেন। এতে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হয়।
৩। হালকা সবুজ – এই রং প্রকৃতির ঘনিষ্ঠ, যা মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং ক্লান্তি দূর করে। এটি চোখের আরামও বাড়ায়। যাঁদের ঘুমের সমস্যা বা দীর্ঘদিন ধরে কোনও শারীরিক ব্যধিতে ভুগছেন, বেড্রুমে এই রং করিয়ে দেখতে পারেন।
৪। ক্রিম রং বা অফ হোয়াইট – এই ধরনের নিরপেক্ষ রং ঘরকে বড় ও পরিষ্কার দেখায়। মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এই রং বিশেষ ভাবে উপযোগী।
** কোন রং বেডরুমে ভুলেও করানো উচিত নয়
১। গাঢ় লাল বা গাঢ় বেগুনি – এই রংগুলি অতিরিক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। দাম্পত্যেও অস্থিরতার কারণ হতে পারে।
২। কালো বা ধূসর – এই রংগুলি বিষণ্ণতা বাড়ায়। বাস্তু শাস্ত্রে বিশেষ করে কালো রং নেতিবাচক শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। বেডরুমে এই রং ব্যবহার করলে অবচেতন মনে ভারাক্রান্ত ভাব তৈরি হয়।
৩। উজ্জ্বল কমলা বা গাঢ় হলুদ – এইসব উজ্জ্বল ও তীব্র রং মানসিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং ঘুমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।