ভগবান শিব হলেন সমস্ত দুঃখ গ্লানি দূর করার দেবতা। তিনি খুবই অল্পে খুশি। তবে তাকে খুশি করতে হলে ধর্মতত্ত্বের কিছু নির্দেশিকা আছে। শিবপুরাণ অনুযায়ী, শিবলিঙ্গ কেবল মহাদেবের প্রতীক নয়, এতে তাঁর গোটা পরিবারই বিরাজমান। বিশেষ কিছু স্থানে স্পর্শ করলে দূর হতে পারে মাঙ্গলিক বা মঙ্গল দোষের প্রভাবও। শিবলিঙ্গের নির্দিষ্ট স্থানে স্পর্শ করা অত্যন্ত পুণ্যদায়ক বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে তিনটি স্থান স্পর্শ করলে মেলে বিশেষ আশীর্বাদ।
১) সন্তান সুরক্ষা ও প্রথম স্থান শিবলিঙ্গের প্রথম স্পর্শ করার স্থানটি হলো জলাধারের একেবারে সামনের দিক। মনে করা হয়, এই অংশে ভগবান গণেশ এবং কার্তিক বিরাজ করেন। পূজার পর অত্যন্ত ভক্তিভরে এই স্থানে স্পর্শ করার বিধান রয়েছে।
২) মাঙ্গলিক দোষ থেকে মুক্তি ও দ্বিতীয় স্থান শিবপুরাণ অনুযায়ী, শিবলিঙ্গের ওপর দিয়ে যেখানে জল প্রবাহিত হয়, তার মাঝখানের স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মহাদেবের কন্যা অশোক সুন্দরী বিরাজ করেন। বিশ্বাস করা হয় যে, এই স্থানে একটি বেলপাতা দিয়ে স্পর্শ করলে বিয়ের পথে আসা সমস্ত বাধা দূর হয়।
৩) সুস্বাস্থ্য ও তৃতীয় স্থান শিবলিঙ্গের জলাধারের পেছনের গোলাকার অংশটিকে বলা হয় মা পার্বতীর ‘হস্তকমল’। এটি স্পর্শ করার তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান। মনে করা হয়, এই পবিত্র স্থানে স্পর্শ করলে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে এবং কঠিন রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
