আজ রবিবার ভূত চতুর্দশী। এই রাত্রিই ভূত চতুর্দশী ভয় নয়, বিশ্বাসের উৎসব। অন্ধকারকে জয় করতে,শুভ শক্তির আহ্বানে, জ্বলে ওঠে চৌদ্দ প্রদীপ। আর ঘরে ঘরে রান্না হয় চৌদ্দ রকম শাক। লোকবিশ্বাস বলছে, নরকাসুর রাজা প্রতিবছর এই তিথিতে ভূতপ্রেতদের নিয়ে পৃথিবীতে আসেন, তাঁদের উপস্থিতিতেই খুলে যায় স্বর্গ আর নরকের দুয়ার। তাই এই দিনে প্রদীপ জ্বালিয়ে মানুষ অন্ধকার দূর করে, আর চৌদ্দ শাক খেয়ে আহ্বান জানায় সুস্থতা ও সমৃদ্ধির। ভূত চতুর্দশীর দিন নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বেশি থাকে বলে মনে করা হয়৷ এদিন এই কাজগুলি করলে জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ৷ কালো ছায়া পিছু ছাড়ে না৷ জেনে নিন কোন কাজগুলি করা বারণ৷
ভারতীয় জ্যোতিষের নির্দেশ অনুযায়ী –
১) ভূত চতুর্দশীর দিন বাড়ির প্রতিটা কোণ পরিস্কার রাখা উচিত৷ ঘরের কোন জায়গায় যেন নোংরা না থাকে৷ তবে সন্ধের পর ভুলেও ঝাঁড়ু দেবেন না৷
২) ভূত চতুর্দশীর দিন শ্মশান অথবা কবরস্থানের ধারে-কাছেও যেতে নিষেধ করা হয়। বলা হয় যে,এই সব জায়গায় নানা রকম নেগেটিভ শক্তি থাকে।
৩) ভূত চতুর্দশীর দিন বাড়িতে কাঁচের ভাঙা জিনিস না রাখাই ভাল৷ বিশেষত, ভাঙ্গা বা ফেটে যাওয়া আয়নায় মুখ দেখা উচিত নয়।
৪) ভূত চতুর্দশী এবং কালীপুজোর দিন সন্ধের পর দুধ বা দুধ জাতীয় কোনও জিনিস কাউকেদেবেন না।
৫) ভূত চতুর্দশীতে ঘরে সর্বদা আলো জ্বালিয়ে রাখবেন৷ কোথাও যেন কোনও অন্ধকার না থাকে।
৬) সন্ধের সময় অবশ্যই প্রদীপ জ্বালান।
পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে এই তিথি পরিচিত ‘নরক চতুর্দশী’ নামে। অন্ধকার আর অত্যাচারের অবসান ঘটিয়ে, আলো আর ন্যায় প্রতিষ্ঠার সেই জয়গানই আজও স্মরণ করা হয় চৌদ্দ প্রদীপের আলোর মধ্য দিয়ে।