আগামী ১২ মে পালিত হবে এ বছরের বুদ্ধপূর্ণিমা৷ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয় এই দিনটিকে৷ জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী কিছু টোটকা পালন করলে অর্জন করা যায় বহু পুণ্য৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশারদ পণ্ডিত কল্কি রাম। বুদ্ধ পূর্ণিমা তিথিতে সিদ্ধার্থ গৌতমের আবির্ভাব ছাড়াও আরও দু’টি গুরুতূপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল। এই তিথিতেই তিনি সিদ্ধিলাভ করেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভের তিথিও এটাই। ফলে গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্য গভীর।
অন্যান্য পূর্ণিমা তিথির মতো বুদ্ধ পূর্ণিমাতেও ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে কোনও পুণ্যনদীতে স্নান করুন। সেটা সম্ভব না হলে বাড়িতেই স্নানের জলে মিশিয়ে নিন কালো তিল। মনে করা হয় এতে পুণ্যলাভ করা যায়। একটি পাত্রে কাঁচা হলুদ নিয়ে তাতে গঙ্গাজল বা সর্ষের তেল মেশান। তার পর সেই মিশ্রণ দিয়ে বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। তার পর তাতে কুমকুম বিন্দু দিন। বাড়িতে অশুভ শক্তি প্রবেশ করবে না। এই দিন বাড়ির সদর দরজায় লাগান তেল, হলুদ ও সিঁদুরের ফোঁটা-সহ আমপাতার তোরণ। নেগেটিভ শক্তি দূরে থাকবে আপনার ঘর সংসার থেকে। বাড়ির ঠাকুরঘরে এদিন সন্ধ্যায় প্রজ্বলন করুন ঘি বা সর্ষের তেলের প্রদীপ। দেখবেন যেন যত ক্ষণ পূর্ণিমা থাকে, তত ক্ষণ যেন প্রদীপ জ্বলে।