www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

August 2, 2025 6:55 am

বর্ষাকাল মানেই স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, ঘরে অতিরিক্ত আর্দ্রতা, অন্ধকার ভাব তো আছেই।

বর্ষাকাল মানেই স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, ঘরে অতিরিক্ত আর্দ্রতা, অন্ধকার ভাব তো আছেই। তবে বাস্তু শাস্ত্র বলছে এই সময়ে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বেড়ে যায় অনেকটা। বাস্তু শাস্ত্র মতে, এই ঋতুতে বাড়ির অন্দরসজ্জায় কিছু বিশেষ পরিবর্তন আনাটাও তাই প্রয়োজন। এতে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বজায় থাকে। মন এবং শরীর সতেজ থাকে। বর্ষাকালে বাস্তুমতে কী কী নিয়ম মানা উচিত –

১. উজ্জ্বল ও উষ্ণ রঙের ব্যবহার: বর্ষাকালে ঘরে আলোর পরিমাণ কম থাকে। তাই অন্দরসজ্জায় উজ্জ্বল ও উষ্ণ রঙ যেমন হলুদ, কমলা, লাইট গ্রীন বা হালকা গোলাপি ব্যবহার করা শুভ। এই রঙগুলি ঘরের অন্ধকার ভাব দূর করে ইতিবাচকতা আনে।

২. সুগন্ধি ও আরতিসামগ্রী: বর্ষায় ঘরে স্যাঁতসেঁতে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। বাস্তু মতে, ঘরে নিয়মিত ধূপ, অ্যারোমা অয়েল বা সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহার করলে পরিবেশ পবিত্র থাকে এবং নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

৩. পর্দা ও বিছানার চাদর: ভারী কাপড়ের পর্দার পরিবর্তে হালকা ও রঙিন কটন পর্দা ব্যবহার করা উচিত। বিছানার চাদরও হালকা রঙের ও শুকনো রাখা উচিত। ভেজা চাদর বা কভার নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৪. গাছপালা ও ফোয়ারার ব্যবহার: বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে তুলসী গাছ বা ইনডোর প্ল্যান্ট রাখা বাস্তু মতে শুভ। চাইলে ঘরের উত্তর বা উত্তর-পূর্ব কোণে ছোট জলফোয়ারা রাখতে পারেন, যা ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত করে।

৫. ভেজা জুতো বা ছাতা: বর্ষাকালে দরজার কাছে ভেজা জুতো বা ছাতা রাখা অনেকে অভ্যাস করেন, যা বাস্তু মতে অনুকূল নয়। এগুলো বাড়ির বাইরে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা উচিত।
৭. আয়না ও আলো: ঘরে আয়নার বিপরীতে আলো ফোকাস করলে তা আলোর প্রতিফলন ঘটায়, ফলে ঘর বেশি আলোকিত দেখায় এবং বাস্তুতে বলা হয়েছে, এই ধরনের আয়োজন ঘরের সৌভাগ্য বৃদ্ধি করে।

৭. দেয়ালে নকশা বা চিত্র: বর্ষাকালে দেয়ালে প্রাকৃতিক দৃশ্য, সূর্যোদয়, হাঁসজারু বা ফ্লাওয়ার পেইন্টিং রাখা শুভ। এগুলো মানসিক প্রশান্তি দেয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *