ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র অতি প্রাচীন শাস্ত্র। বাস্তুশাস্ত্র মনে করে প্রত্যেক বাড়িতে কিছুনা না কিছু বাস্তুদোষ থাকে। সেই বাস্তুদোষকে দূর করা দরকার। সেই প্রসঙ্গেই বাস্তু শাস্ত্র আলোচনা করেছে ঠাকুরঘরের সজ্জা নিয়ে। বেশিরভাগ মানুষের বাড়িতে ঈশ্বরের আরাধনার জন্য একটি আলাদা স্থান রয়েছে। যাকে পুজোর ঘর বা বাড়ির মন্দির বা বাড়ির ঠাকুরঘর বলা হয়। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, বাড়ির ঠাকুর ঘরে বেশ কিছু জিনিস রাখতে নেই। তা হলে যে কোনও ব্যক্তির জীবনে ধেয়ে আসতে পারে অমঙ্গল। এক ঝলকে দেখে নিন সেই জিনিসগুলি কী কী।
- বাস্তুশাস্ত্র বলছে, বাড়ির পুজোর ঘরে কখনও পূর্বপুরুষদের ছবি রাখা উচিত নয়। এমনটা করলে ঈশ্বর রেগে যেতে পারেন এবং ঘরে পিতৃদোষ সৃষ্টি হতে পারে। আপনার বাড়ির পূজার ঘরে যদি আপনার পূর্বপুরুষদের ছবি রাখেন, তা হলে আপনার বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি বাড়তে পারে। এর ফলে আপনার বাড়িতে নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যদি বাড়ির মন্দিরের কোনও মূর্তি ভেঙে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলা উচিত। কারণ ঠাকুর ঘরে ভাঙা মূর্তি রাখা মানে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। ঘরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হতে পারে।
- অনেকের বাড়ির ঠাকুর ঘরে বা সিংহাসনে দেখা যায় একই দেবতার একাধিক ছবি বা মূর্তি। বাস্তুশাস্ত্র বলছে, ঠাকুর ঘরে একই দেবতার একাধিক মূর্তি থাকলে ঘরে বাস্তু দোষ তৈরি হয়।
- বাস্তুশাস্ত্র মতে শুকিয়ে যাওয়া ফুল কখনও বাড়িতে মন্দিরে রাখবেন না। এমনটা করলে আর্থিক ক্ষতি হয়। কেরিয়ারে সাফল্যের ক্ষেত্রেও বাধা আসে।
- বাড়ির মন্দিরে শঙ্খ রাখা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। শঙ্খকে সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে মন্দিরে একাধিক শঙ্খ না রাখাই শ্রেয়। কথিত আছে যে, একটি মন্দিরে একাধিক শঙ্খ রাখলে একজন ব্যক্তি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন।