জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই কিন্তু শুধু চন্দননগর নয়, কৃষ্ণনগরও। বরং বলাই যায় যে বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে কৃষ্ণনগরেই। এখানকার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পুজো হলো –
- চাষাপাড়ার বুড়িমা – ঐতিহ্যের প্রতীক: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই – প্রথমেই যাঁর নাম সামনে আসে, তিনি হল চাষাপাড়া বারোয়ারির ‘বুড়িমা’। ১৭৭২ সাল থেকে এই পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি কৃষ্ণনগরের সবচেয়ে প্রাচীন ও বিখ্যাত বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজো। বিশাল আকার এবং সাবেকি প্রতিমার জন্য বুড়ি মায়ের খ্যাতি বিশ্বজোড়া।
- কাঁঠালপোতার ছোট মা – বুড়িমায়ের বোন: চাষাপাড়ার ‘বুড়িমা’-এর পরই জনপ্রিয়তার নিরিখে যাঁর স্থান, তিনি হলেন কাঁঠালপোতা বারোয়ারির ‘ছোট মা’। লোকমুখে প্রচলিত যে ছোট মা হলেন বুড়িমায়ের বোন! এই প্রতিমাও আকারের দিক থেকে বেশ বড় এবং এর সাবেকি রূপে নজর কাড়ে।
- রাজবাড়ির পুজো – ইতিহাসের সাক্ষী: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল এখানকার রাজবাড়িতেই। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত রাজবাড়ির রাজরাজেশ্বরী মাতার পুজো আজও প্রাচীন রীতি মেনে হয়। এখানে দেবীর প্রতিমা সাবেক হলেও এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।
- সৃজনশীলতায় সেরা – ঘূর্ণি বারোয়ারি (বকুলতলা): সাবেকি প্রতিমার পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের বহু পুজো এখন থিমের চমক দেখাচ্ছে। ঘূর্ণি এলাকায় একাধিক জনপ্রিয় পুজো হয়। যার মধ্যে ঘূর্ণি বকুলতলা বারোয়ারি অন্যতম। প্রতি বছর এরা নতুন নতুন সামাজিক বা সাহিত্য-ভিত্তিক থিম নিয়ে আসে, যা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
- বিশাল প্রতিমায় চমক – ক্লাব প্রতিভা: কৃষ্ণনগরের একাধিক ক্লাব বিশাল উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করেছে। সন্ধ্যা মাঠ পাড়ার ক্লাব প্রতিভা বিগত বছরগুলিতে প্রায় ৮০-৮৫ ফুট উচ্চতার ফাইবারের প্রতিমা তৈরি করে জেলার সেরা পুজোগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। উচ্চতার বিচারে এদের প্রতিমা অন্যতম বৃহৎ।
- নজরকাড়া আলোকসজ্জা – রেনবো ক্লাব: কৃষ্ণনগরের থিমের পুজোগুলির মধ্যে রেনবো ক্লাব প্রতি বছরই মণ্ডপসজ্জা ও আলোকসজ্জায় নতুনত্ব আনে।
