www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

September 17, 2025 11:01 pm

শনি (Shani Dev), হিন্দুধর্মে শনি গ্রহের ঐশ্বরিক মূর্তিকে বোঝায়। হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে (Astrology) নয়টি স্বর্গীয় বস্তুর (নবগ্রহ) মধ্যে একটি। তাকে শিবের অবতার বলে মনে করা হয়। পুরাণে শনি পুরুষ হিন্দু দেবতা, যার মূর্তিশিল্পে তলোয়ার বা দণ্ড (রাজদণ্ড) বহনকারী ও কাকের উপর বসে থাকা কালো চিত্র রয়েছে। শনি দীর্ঘায়ু, দুঃখ, দুঃখ, বার্ধক্য, শৃঙ্খলা, সীমাবদ্ধতা, দায়িত্ব, বিলম্ব, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব, নম্রতা, সততা ও অভিজ্ঞতার জন্মগত জ্ঞানের নিয়ামক। তিনি আধ্যাত্মিক তপস্যা, শৃঙ্খলা ও বিবেকপূর্ণ কাজকেও বোঝায়। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে সবচেয়ে সুপরিচিত শনিদেব।

হিন্দুধর্মে সপ্তাহের এক একটি দিন এক এক জন দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। সেই হিসেবে শনিবার হল কর্মফলের দেবতা শনির দিন। এদিন শনিদেবের পুজো করলে তাঁর সুনজর পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। যেহেতু শনির অশুভ দৃষ্টি আমাদের জীবন ছারখার করে দিতে পারে, সেই কারণে শনির শুভ দৃষ্টি লাভ করার চেষ্টা থাকে সবার মধ্যেই।

শনিবারে শনি ঠাকুরকে সহজে প্রসন্ন করা সম্ভব। শনিবারে এই দশ কাজ করলে শনিদেবকে নিশ্চিত ভাবে তুষ্ট করতে পারবেন আপনি। শনি প্রসন্ন হলে সাড়ে সাতি ও ধাইয়ার অশুভ প্রভাব থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এর ফলে আপনার জীবন সাফল্য ও আনন্দে ভরে ওঠে। শনি নিজেই তাঁর ভক্তদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন।

শনি (Shani Dev), হিন্দুধর্মে শনি গ্রহের ঐশ্বরিক মূর্তিকে বোঝায়। হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে (Astrology) নয়টি স্বর্গীয় বস্তুর (নবগ্রহ) মধ্যে একটি। তাকে শিবের অবতার বলে মনে করা হয়। পুরাণে শনি পুরুষ হিন্দু দেবতা, যার মূর্তিশিল্পে তলোয়ার বা দণ্ড (রাজদণ্ড) বহনকারী ও কাকের উপর বসে থাকা কালো চিত্র রয়েছে। শনি দীর্ঘায়ু, দুঃখ, দুঃখ, বার্ধক্য, শৃঙ্খলা, সীমাবদ্ধতা, দায়িত্ব, বিলম্ব, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব, নম্রতা, সততা ও অভিজ্ঞতার জন্মগত জ্ঞানের নিয়ামক। তিনি আধ্যাত্মিক তপস্যা, শৃঙ্খলা ও বিবেকপূর্ণ কাজকেও বোঝায়। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে সবচেয়ে সুপরিচিত শনিদেব।

শনির জন্ম

কিংবদন্তী অনুসারে, শনি হিন্দুধর্মের একজন দেবতা যিনি সূর্যদেব ও তার পত্নী ছায়াদেবীর (সূর্যদেবের স্ত্রী ও দেব বিশ্বকর্মার কন্যা দেবী সংজ্ঞার ছায়া থেকে সৃষ্ট দেবী ছায়া) পুত্র, এজন্য তাকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়। সূর্যদেব সরন্যুর সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু পরে তিনি তাকে ছেড়ে তপস্যায় চলে যান। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে একদিন শনির ধ্যানের সময়, তার স্ত্রী দেবী ধামিনী সুন্দর বেশভূষা নিয়ে তার সামনে এলে ধ্যানমগ্ন শনিদেব সেদিকে খেয়াল না করাতে পত্নী ধামিনী বা মান্দা শনিদেবকে অভিশাপ দিলেন, আমার দিকে তুমি ফিরেও চাইলে না। এরপর থেকে যার দিকে চাইবে, সে-ই ভস্ম হয়ে যাবে। কোনও কোনও মতে মনে করা হয় যে এটি মঙ্গলদোষের প্রভাবে হয়েছে। মধ্যযুগীয় গ্রন্থ মতে শনি হলেন একজন দেবতা, যিনি দুর্ভাগ্যের অশুভ বাহক হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়। শনি ভালোর জন্য ভাল আর খারাপের জন্য খারাপ। তিনি খুব ধৈর্যশীল ও বুদ্ধিমান। এথানেই শেষ নয়, মহাদেবের থেকে বক্রদৃষ্টির বর পেয়েছিলেন, যা ব্যক্তিকে সঠিক পথে নিয়ে আসে। উল্লেখ্য, কর্মফল দিতে গিয়ে তিনি অনেকের রোষানলে পড়লেও কখনওই সত্যের পথ থেকে তিনি বিচ্যুত হননি। ভগবান শিব মহান তপস্যার শক্তির বলে শনিদেবকে অন্ধকার দান করেছিলেন।

যম ও শনি ছিলেন সূর্যদেবের দুই পুত্র। তিনি ছায়াপুত্র নামেও পরিচিত কারণ তাঁর মা ছিলেন ছায়া। শনিবারের অধিপতি হিসেবে শনিদেব শনির পক্ষে অবস্থান করছেন। “মৃত্যুর ঈশ্বর” নামটি তার বড় ভাই যমের জন্যও প্রযোজ্য। যম মৃত্যুর পরে একজনের কর্মের জন্য পুরষ্কার প্রদান করলে, শনি জীবিত থাকাকালীন একজনের কর্মের জন্য পুরস্কার প্রদানের জন্য বিখ্যাত। উপরন্তু, যমুনা দেবী এবং পুত্রী ভদ্র ছিলেন তাঁর বোন। বৈবস্তব মনু ও মনু তাঁর অতিরিক্ত দুই ভাই। শনির জন্মের সময় সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এটি হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে শনির প্রভাব নির্দেশ করে। বৈশাখ বদ্য চতুর্দশী অমাবস্যায়, যা শনি অমাবস্যা বা শনি জয়ন্তী নামেও পরিচিত, ভগবান শনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

জেনে নিন শনিবারে শনিকে খুশি করার সহজ ১০ উপায়

* শনিবার সকালে অশ্বত্থ গাছে জল নিবেদন করুন।

* শনিবার সন্ধেয় অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় একটি সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান।

* শনিবারে অশ্বত্থ গাছের পুজো করলে তুষ্ট হল শনি দেবতা।

* শনিবারে শনি দেবতার মন্ত্র জপ করলে সাড়ে সাতি দশার সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

* শনিবারে অবশ্যই শনি চালিশা পাঠ করুন। এর ফলে সহজেই কর্মফলের দেবতাকে তুষ্ট করা সম্ভব।
* শনিবারে শনি ঠাকুরের পাশাপাশি হনুমান জির পুজো করাও অত্যন্ত শুভ। বজরংবলীর ভক্তদের কখনও কষ্ট দেন না শনি। তাই শনিবারে হনুমান পুজো করলে শনির দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

* শনিকে তুষ্ট করতে প্রতি শনিবার সুন্দরখণ্ড পাঠ করুন।

* এই দিনে কালো ডাল, কালো ছাতা, কালো জুতো, কালো চটি, কালো কম্বল দান করুন। এর ফলে প্রসন্ন হন শনি।

* শনিবার সন্ধেয় একটি সর্ষের তেলের প্রদীপে কয়েক দানা তিল দিয়ে সেটি কোনও অশ্বত্থ গাছের নীচে জ্বালিয়ে আসুন।

* শনিবারে কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ান। এর ফলে অবশ্যই তুষ্ট হবেন শনি দেব।

ভগবান শনির বিশ্বস্ততা

হিন্দু মূর্তিতত্ত্ব অনুসারে, ভগবান শনি লম্পট এবং খোঁড়া। কারণ তিনি তার ভাই যমের সঙ্গে বাল্যকালের লড়াইয়ে আহত হয়েছিলেন। একটি কাক, একটি শকুন, বা আটটি ঘোড়া-সহ একটি লোহার রথে চড়ার সময় শনিকে একটি ধনুক এবং তীর দিয়ে চিত্রিত করা হয়েছে। তিনি সাধারণত গাঢ় বর্ণের ও সমস্ত কালো পরিধান করেন। তাকে মাঝে মাঝে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলে মনে করা হয়। যিনি জীবনে একজনের কর্মের ফলাফল প্রদানের দায়িত্ব পালন করেন।

হনুমান ও শনিদেব

সূর্য সংহিতা অনুসারে হনুমান শনিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি শিবের রুদ্র রূপ হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রে হনুমানের (Hanuman) ত্বকের রঙ প্রায়শই ভগবান শনিদেবের (Shani Dev) সঙ্গে তুলনা করা হয়৷ কিংবদন্তি অনুসারে, ভগবান হনুমান শনিদেবকে রাবনের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং তার বিনিময়ে, শনি তাঁর কাছে একটি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, যে কেউ শনিবারে হনুমানের পূজা করবে তাকে সব কিছুতেই অব্যাহতি দেওয়া হবে।

কালো কুকুর আর শনিদেব

অনেকেই মনে করেন যে কালো কুকুরকে খাওয়ানো শনির নেতিবাচক প্রভাবকে প্রতিরোধ করে। অনেকে সেইজন্য কালো কুকুরকে খাওয়ান। বাড়িতেও কালো কুকুর পোষার প্রবণতা তৈরি হয়।

শনিবারে শনিদেবের পুজোপাঠ (Spirituality) করলে বেশ কিছু বিপদ কেটে যায় বলেই মত শাস্ত্রবিশেষজ্ঞদের। এই দিনে শনিদেবের পুজো করলে তাঁর কৃপা পাওয়া যায়। কথিত আছে যে, মানুষের ভালো-মন্দ কর্ম অনুযায়ী ফল দেন শনিদেব। যখন কোনো ব্যক্তি শনি দশায় ভোগেন, তখন সেই ব্যক্তি মানসিক, শারীরিক ও আর্থিকভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিবার যে সমস্ত ভক্তরা শনিদেবকে সত্যিকারের ভক্তিভরে পুজো করেন তাদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।                                                                                                                                                                         

শাস্ত্র অনুসারে, শনিদেব ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পরম ভক্ত। তাই যারা শ্রী কৃষ্ণের উপাসনা করেন তাদের প্রতি শনিদেব তার খারাপ দৃষ্টি রাখেন না।  এই দিনে অনেক জিনিস কেনা নিষিদ্ধ। শনিবার ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে যদি পূজার পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রগুলি জপ করা হয়, তাহলে জীবনের সমস্ত দুঃখ দূর হয় এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এছাড়াও, কথিত আছে এই মন্ত্র পাঠ করলে কেউ শনির অশুভ দৃষ্টি থেকে মুক্তি পায়।                                                 

শনির মহামন্ত্রগুলো কী কী? ওম নীলাঞ্জন সমভাষম রবিপুত্রম যমগরাজম্। ছায়ামর্তান্ড সম্ভূতম্ তম নমামি শনাইশ্চরম্।                            

শনি দোষ নিবারণ মন্ত্র- ওম ত্র্যম্বকম যজামহে সুগন্ধিম্ পুষ্টিবর্ধনম্। উর্ভারুক মিভ বন্দনান মৃত্যুমুখীয়া মা মৃত্যুঃ।

শনির বৈদিক মন্ত্র- ওঁ শন্নোদেবীর-ভিষ্টয়, আপো ভবন্তু পিত্তেয় শ্যায়োর্বিস্ত্রবন্তুঃ।

শনি গায়ত্রী মন্ত্র- উম ভগবভায়া বিদমহেন মৃত্যুরূপায় ধীমহি তন্নো শনিঃ প্রচোদ্যত। শন্নোদেবীরভিষ্টায় ভবন্তু।

স্বাস্থ্যের জন্য শনি মন্ত্র- ধ্বজহিনী ধামিনী চৈব কঙ্কলি কলহপ্রিহা। কাঙ্কতি কালহি চৌথ তুরঙ্গি মহিষি আজা৷ শনৈর্নামণি পত্নীনামেতানি সঞ্জপন পুমান। 

Courtesy- articles published from different sources

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *