প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (৮২) সম্প্রতি প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। ক্যানসার ইতিমধ্যেই তাঁর হাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পরেছে। বাইডেনের প্রস্রাব করতে সমস্যা সমস্যা হচ্ছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়, তাতেই দেখা যায় প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এটিকে “গ্লিসন স্কোর 9” দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এটি অত্যন্ত মারাত্মক, দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এক ধরনের ক্যানসার। যার অর্থ এই ক্ষেত্রে কোষগুলি অস্বাভাবিক এবং দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠেছে।
- বয়স ফ্যাক্টরঃ প্রস্টেট ক্যানসার প্রোস্টেট গ্রন্থিতে বেড়ে ওঠে। পুরুষদের শরীরে যে ধরনের ক্যানসার বাসা বাঁধে, তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে প্রস্টেট ক্যানসার। প্রকৃতপক্ষে, ৭০-৮০ বছর বয়সের ব্যক্তিরাই এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা সাধারণত সক্রিয় পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করে। অর্থাৎ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য নিয়মিত পিএসএ রক্ত পরীক্ষা, চেক-আপ, স্ক্যান করা হয়। প্রস্টেট ক্যানসার খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। সার্জারি এবং রেডিয়েশনের মতো চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
- প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণঃ এ রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাব শুরু বা বন্ধ করতে অসুবিধা, প্রস্রাব প্রবাহে ব্যাঘাত, প্রস্রাব বা বীর্যের মধ্যে রক্তের চিহ্ন, প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা প্রদাহ, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, নিচের কোমর, নিতম্ব বা শ্রোণীতে ব্যথা, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তি। এ ধরনের ক্ষেত্রে হরমোন থেরাপি ভাল কাজ করে। প্রোস্টেট ক্যানসার কোষগুলির বৃদ্ধির জন্য টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন প্রয়োজন। এই থেরাপি সেই হরমোন কমিয়ে দেয় এবং ক্যানসারকে বাড়তে বাধা দেয়। এটি ক্যানসার পুরোপুরি কমাতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং জীবনের মান বাড়ায়।