খুবই ঘটা করে, মহা সমারোহে সমাপ্ত হলো তারাপীঠের পুজো। দীপান্বিতা অমাবস্যায় ভক্তের ঢল তারাপীঠে মন্দিরে। পুজোর দিনে রাজবেশে সেজে উঠেছেন মা তারা। কালীপুজোর আবহে আলোর সাজে ঝলমল করছে গোটা মন্দির চত্বর। আশপাশের চত্বর ও মন্দিরে নিরাপত্তার কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের। কালীপুজো উপলক্ষ্যে কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম তারাপীঠে হয় বলে খবর। সমস্ত রীতি মেনেই চলছে দেবীর আরাধনা। এদিন সকাল থেকেই মন্দির চত্বরে ভক্তদের ঢল নেমেছে। পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন। কালীপুজোর দিনে দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন হাজির হন। ভোর চারটে নাগাদ নিয়ম অনুযায়ী মা তারাকে স্নান করিয়ে খুলে দেওয়া হয় গর্ভগৃহের দরজা। এরপর শুরু হয় বিশেষ পুজো ও ভোগ নিবেদন।
কালীপুজোর দিন তারাপীঠের মন্দিরে বিশেষ ভোগেরও আয়োজন করা হয়। দুপুরে ভোগের তালিকায় ভাত, ফ্রায়েড রাইস, পোলাও, ডাল, পাঁচ রকম ভাজা, পাঁচ রকম তরকারি, মাছ ও মাছের মাথা ভাজা। বিশেষ ভোগ হিসেবে ছিল বলির পাঁঠার মাংস ও শোল মাছ পোড়া। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “সকালের ভোগ নিবেদন শেষে আবার ভক্তদের জন্য গর্ভগৃহের দরজা খুলে দেওয়া হয়। সারা দুপুর-বিকেল চলেছে মা তারার বিশেষ পুজো। সন্ধ্যায় মা তারাকে পুনরায় রাজ-রাজেশ্বরী রূপে সাজিয়ে আরতি হয়। এরপর আবার ভোগ নিবেদন করা হয়। যার মধ্যে থাকবে লুচি, সুজি, পাঁচ রকম মিষ্টি, পাঁচ রকম ভাজা ও গুড়ের মুরকি।”