ব্যাপারটা অনেকটা সিনেনার মতো হলেও বাস্তব। ঘটনাসূত্রে জানা যায় ছত্তিশগড়ের মাদাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মণীশ। তাঁর বাবা গজেন্দ্র পেশায় কৃষক। মাসখানেক আগে নতুন একটি সিম নেন মণীশ। তারপর থেকেই ‘সমস্যা’ শুরু। একদিন হঠাৎ মণীশের কাছে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। উলটোদিকের ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেন বিরাট কোহলি হিসাবে। প্রথমটা চমকে গেলেও মণীশের ধারণা হয়, তাঁর বন্ধুরা মজা করে এমনটা করছেন।
তাই বন্ধু ভেবে বিরাটের সঙ্গেও পালটা মশকরা করে বসেন ছত্তিশগড়ের যুবক ও তাঁর বন্ধু খেমরাজ। কেবল বিরাটেই শেষ নয়। পরবর্তীকালে ডি’ভিলিয়ার্স, তারকা পেসার যশ দয়ালেরও ফোন পান মণীশ। একইভাবে তাঁদের সঙ্গেও মজার ছলে কথা বলে বিষয়টি উড়িয়ে দেন। এভাবে বেশ কয়েকদিন চলার পর মণীশকে ফোন করেন আরসিবি অধিনায়ক রজত পাটিদার। তিনি বলেন, মণীশ যে সিমটি ব্যবহার করছেন সেটা আসলে তাঁর। তাই মণীশ যেন সিমটি ফেরত দেন। সেটাও প্রথমে বিশ্বাস করেননি ছত্তিশগড়ের যুবক। পরে পুলিশ এসে বোঝায়, মোটেই মশকরা নয়। আদতেই ওই সিমটি রজতের ছিল। গোটা ঘটনাটিকে সিনেমার মতো লাগছে মণীশ এবং তাঁর পরিচিতদের। খেমরাজ বলেন, “আমি কোনওদিন ভাবিনি বিরাটের সঙ্গে কথা বলব। ডিভিলিয়ার্স ইংরাজিতে কথা বললেন, কিছু বুঝতে পারিনি কিন্তু দারুণ লেগেছিল। আসলে মণীশের কাছে ফোন এলেই ও আমাকে ধরিয়ে দিত।” তবে মোবাইল কোম্পানির সামান্য ভুলে আজ গোটা গ্রামে খুশির হাওয়া।