জৈন ধর্মের মূল কথা হল এর প্রাচীন ঐতিহ্য, যা ২৪ জন তীর্থঙ্করের পরম্পরার মাধ্যমে এসেছে, প্রথমজন ঋষভনাথ (আদিনাথ) এবং শেষজন মহাবীর, যিনি খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে ধর্মের প্রসার করেন; জৈনরা বিশ্বাস করে মহাবিশ্বের কোনো স্রষ্টা নেই এবং এটি চিরন্তন, এবং অহিংসা (অহিংসা), সত্য, অস্তেয় (চুরি না করা), ব্রহ্মচর্য এবং অপরিগ্রহ (সম্পত্তি ত্যাগ) হল মূল নীতি, যা আত্মার মুক্তি (মোক্ষ) অর্জনের পথ।
- মূল ধারণা:
- তীর্থংকর: জৈন ধর্মে ২৪ জন মহাপুরুষ আছেন, যাঁরা সংসার-সাগর পার করে ‘তীর্থ’ প্রতিষ্ঠা করেন, এঁরা হলেন তীর্থংকর বা ‘জিন’ (বিজেতা)।
- ঋষভনাথ: প্রথম তীর্থংকর, যিনি বহু লক্ষ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
- পার্শ্বনাথ: ২৩তম তীর্থংকর, যিনি খ্রিস্টপূর্ব ৯ম-৮ম শতাব্দীতে সক্রিয় ছিলেন।
- মহাবীর: ২৪তম ও শেষ তীর্থংকর, যিনি খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে এই ধর্মকে সুসংগঠিত করেন এবং অহিংসার উপর জোর দেন।
- প্রধান বিশ্বাস ও নীতি:
- অহিংসা: জৈন ধর্মের মূল ভিত্তি, যার অর্থ সমস্ত জীবের প্রতি দয়া ও ক্ষতি না করা।
- ত্রিরত্ন: মোক্ষ লাভের জন্য তিনটি অপরিহার্য নীতি: সঠিক বিশ্বাস (সম্যগদর্শন), সঠিক জ্ঞান (সাম্যজ্ঞান), এবং সঠিক আচরণ (সাম্যচরিত্র)।
- সৃষ্টিকর্তা নেই: জৈনরা মনে করে মহাবিশ্বের কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই, এটি চিরকাল বিদ্যমান এবং স্বাধীন।
- পুনর্জন্ম: আত্মা কর্মফল অনুযায়ী পুনর্জন্ম গ্রহণ করে এবং মোক্ষ লাভ না করা পর্যন্ত এই চক্র চলতে থাকে।
