খ্রিষ্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে ভারতে উদ্ভূত এক ধর্মীয় দর্শন, যা সিদ্ধার্থ গৌতম (বুদ্ধ) এর শিক্ষা থেকে এসেছে এবং এর মূল ভিত্তি হলো দুঃখের কারণ (বাসনা) দূর করে নির্বাণ লাভ করা, যার মাধ্যমে পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি একটি প্রাচীন ধর্ম যা অহিংসা, ধ্যান এবং নৈতিকতার উপর জোর দেয় এবং এশিয়াজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে ।
- বৌদ্ধধর্মের মূল ভিত্তি:
- প্রতিষ্ঠাতা: সিদ্ধার্থ গৌতম, যিনি পরে বুদ্ধ (জাগরিত জন) নামে পরিচিত হন।
- জন্ম ও জীবন: বর্তমান নেপালের লুম্বিনীতে এক রাজপরিবারে তাঁর জন্ম, কিন্তু সত্য ও জ্ঞানার্জনের সন্ধানে তিনি রাজকীয় জীবন ত্যাগ করেন।
- জ্ঞানার্জন (বোধি): দীর্ঘ সাধনা ও ধ্যানের পর বোধগয়ায় তিনি জ্ঞানলাভ করেন এবং নির্বাণ লাভ করেন, যা দুঃখের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি।
- মূল শিক্ষা:
- দুঃখ ও তার নিবারণ: জীবনের দুঃখের মূল কারণ হলো বাসনা বা তৃষ্ণা। এই বাসনা ত্যাগ করাই দুঃখ নিবারণের উপায়।
- নির্বাণ: সকল বন্ধন ও দুঃখের অবসান ঘটানো, যা ‘নিভে যাওয়া’ বা ‘বিলুপ্ত’ হওয়ার সমতুল্য।
- অহিংসা ও মধ্যপন্থা: সকল জীবের প্রতি অহিংসা এবং চরম ভোগ বা কঠোর তপস্যা পরিহার করে মধ্যপন্থা অবলম্বন।
- ধ্যান ও মননশীলতা: মানসিক শান্তি ও অন্তর্দৃষ্টি লাভের জন্য ধ্যান ও মননশীলতার অনুশীলন অপরিহার্য।
