দু’টি নদের মাঝে গড়ে উঠেছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল। আর এই বর্ষায় শিল্পাঞ্চলের একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র হয়ে ওঠে দামোদর নদের ওপর গড়ে ওঠা দুর্গাপুর ব্যারেজ। বর্ষা এলেই দুর্গাপুর ব্যারেজের অপরুপ সুন্দর দৃশ্য দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা। এই সময় ব্যারেজের লকগেট থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়। ফলে ব্যারেজের জলাধারের নিম্নমুখী জলের প্রবাহ মুগ্ধ করে তোলে পর্যটকদের। আর তার বিপরীতে ব্যারেজের জলাধারে এই সময় অথৈ জল। ব্যারেজের দুই পাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আকর্ষিত করে প্রকৃতিপ্রেমীদের। বিকেল বেলায় এখানে একপ্রকার পর্যটকদের মেলা বসে যায়। দুর্গাপুর ব্যারেজের আরেকটি মূল আকর্ষণ নদের নানা প্রজাতির টাটকা মাছ। চিংড়ি, রুই, কাতলা, বোয়াল, বান, সিঙ্গি, বাটা ইত্যাদি নানান প্রজাতির টাটকা মাছ নিয়ে পসরা সাজায় ব্যারেজের মৎস্যজীবীরা।
বহু মানুষ ভিড় করে পছন্দসই মাছ কিনে নিয়ে যান। এছাড়াও বর্ষা স্পেশাল ভুট্টা পোড়া, আইসক্রিম, ফুচকা, পাপড়ি চাট, ঝাল মুড়ি ইত্যাদি নানান খাবারের দোকান বসে এখানে। জলাধারের ওই মনোরম প্রকৃতির অনুভূতির পাশাপাশি মুখরোচক খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে। এই নদী এবং নদের পার্থক্যটা অনেকেরই অজানা। চলতি কথায় নদ কেও আমরা নদী বলেই অভিহিত করি। তবে কেন কিছু নদীকে নদ এবং কিছু নদীকে নদী বলা হয় জানেন। যে জলধারার শাখা প্রশাখা থাকে তাকে নদী বলা হয়। আর যে জলধারার সাধারণত কোনও শাখা থাকে না, তাকে নদ বলা হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দামোদর ও অজয় নদের ভৌগোলিক স্থান বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলার মানচিত্রে পড়ে।