খুব ধুমধাম করেই নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সপ্তমী পুজো সম্পন্ন হলো। উৎসাহের কোনো ঘাটতি ছিল না। ওই দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিরা এই পুজোর আয়োজন করে থাকেন। প্রায় দু’মাস আগে থেকে শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। এ এক অন্যরকম অনুভূতি! কাজের ফাঁকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের রিহার্সাল থেকে শুরু করে চলে পুজোর প্ল্যানিং। এবারে নিউজিল্যান্ডে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে টেম্পলেটন কমিউনিটি হলে। সাবেকি কুমোরটুলি প্রতিমাতেই চলে উমার আরাধনা। রীতি মেনেই সমস্ত পুজো করা হয়। এবার সেখানে পুজোয় পৌরহিত্য করার দায়িত্বে রয়েছেন মায়াপুরের এক পণ্ডিত। একেবারে রীতি মেনে করা হয় এই পুজো। পুষ্পাঞ্জলি থেকে শুরু করে কোনও আয়োজনই বাদ রাখা হয় না।
উৎসবের দিনগুলিতে বাঙালি এবং অবাঙালিদের এক মিলনক্ষেত্র হয়ে ক্রাইস্টচার্চের এই পুজো। উদ্যোক্তাদের কথায়, প্রাণের উৎসবে নিউজিল্যান্ডে প্রবাসীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন এই পুজোয় আসেন। শুধু নিউজিল্যান্ডেই নয়, ইংল্যান্ড, আমেরিকা কিংবা আফ্রিকা থেকেও প্রবাসীরা ক্রাইস্টচার্চ-এ পুজোয় বাঙালিয়ানার ছোঁয়া পেতে আসেন। শুধু তাই নয়, পুজো সদস্যদের কথায়, বিদেশের মাটিতে বাংলা এবং বাঙালিয়ানার ঐতিহ্যকে সবরকমভাবে তুলে ধরা হয়। তা সে পোশাক হোক কিংবা সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। মহিলাদের পরণে থাকে শাড়ি এবং ছেলেদের পোশাক অবশ্যই পাঞ্জাবি। আর বিজয়াতে সিঁদুরখেলা আর দশমীর নাচ তো মাস্ট! দেওয়া হলো ২০২৪ সিঁদুরখেলার ছবি।