যুধিষ্ঠির মহাভারতে সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক। তাঁকে কেন্দ্র করেই মহাভারতের সত্য, ন্যায় ও ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেমন –
- কুকুরের প্রতি ভালোবাসা:
যুধিষ্ঠির তাঁর কুকুরকে ছাড়া স্বর্গে প্রবেশ করতে অস্বীকৃতি জানান, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানুষের মতো পশুদেরও সমান মর্যাদা আছে এবং নীতির জন্য তিনি তাদের সাথে স্বর্গে যাবেন বা যাবেন না। - সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অবিচলতা:
যুধিষ্ঠিরকে প্রায়শই ধর্মরাজ বা অজাতশত্রু বলা হয়, যিনি সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতেন। তাঁর নাম ‘যুধিষ্ঠির’ অর্থই হলো ‘যুদ্ধে অবিচল’। - জ্ঞান ও বৈদিক শাস্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা:
তিনি বৈদিক শাস্ত্র সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখতেন এবং তাঁর কথার মাধ্যমে তাঁর শাস্ত্রীয় জ্ঞান প্রকাশ পেত। - আত্মসম্মান ও নৈতিকতা:
যে কোনও পরিস্থিতিতে তিনি নিজের আত্মসম্মান ও নৈতিকতার সাথে আপস করেননি। এমনকি অনেক কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি নিজের ধর্ম ও নীতি থেকে বিচ্যুত হননি। - সদ্ব্যবহার ও সম্মান:
যুধিষ্ঠির ছিলেন সকল ভালো গুণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর আচরণে সবসময় ধৈর্য, বিনয় এবং সম্মান প্রকাশ পেত। এই বাণী ও নীতিগুলি মহাভারতে বর্ণিত যুধিষ্ঠির চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যিনি সত্য, ন্যায় ও ধর্মের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।