জন্মাষ্টমী হল হিন্দু দেবতা শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন। এটি ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে, ভক্তরা উপবাস করে, মন্দিরে যায় এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে। এটি ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব।
- জন্মাষ্টমীর পেছনের ইতিহাস:
শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। তিনি কংসের কারাগারে দেবকী ও বসুদেবের ঘরে জন্মগ্রহন করেন।
কংস ছিলেন একজন অত্যাচারী রাজা, যিনি তার পিতা উগ্রসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসন দখল করেছিলেন।
কংস জানতে পেরেছিলেন যে দেবকীর অষ্টম পুত্র তার মৃত্যুর কারণ হবে, তাই তিনি দেবকী ও বসুদেবকে বন্দী করেন এবং তাদের প্রত্যেক নবজাতককে হত্যা করার চেষ্টা করেন।
অবশেষে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয় এবং বসুদেব তাকে কংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য যমুনার ওপারে নন্দালয়ের যশোদার কাছে রেখে আসেন।
শ্রীকৃষ্ণ বড় হয়ে কংসকে হত্যা করে মথুরার সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন এবং প্রজাদের শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনেন। এই কারণে, শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন (“জন্মাষ্টমী”) একটি বিশেষ উৎসব হিসেবে পালিত হয়। - জন্মাষ্টমী উৎসব:
এই দিনে, ভক্তরা উপবাস করে, কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাকীর্তন করে।
অনেক স্থানে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি সুসজ্জিত করা হয় এবং বিশেষ পূজা ও আরতি করা হয়।
এই দিনে মিষ্টান্ন ও ফলমূল দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়।
কিছু মন্দির ও সম্প্রদায়ে, এই দিনে নৃত্য ও নাটকের আয়োজন করা হয়। - জন্মাষ্টমীর তাৎপর্য:
জন্মাষ্টমী শ্রীকৃষ্ণের জন্ম এবং তাঁর ঐশ্বরিক লীলা স্মরণের দিন।
*এটি সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার শিক্ষা দেয় এবং ভক্তদেরকে ধর্মের পথে অগ্রসর হতে উৎসাহিত করে।
*এই উৎসবটি ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ও ভালোবাসা প্রদর্শনের একটি উপলক্ষ।