আজ, রবিবার জামাইষষ্ঠী। হিন্দু বাঙালিদের ঘরে ঘরে শ্বশুড়ির জামাইদের আদর করে বারণ করে নেবেন। তবে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছে কিছু লৌকিক আচার। ষষ্ঠী পূজার উপকরণ- আম পাতা, তালপাখার পাখা, ধান, দূর্বা, পাঁচ থেকে নয় রকমের ফল, ফুল এবং বেলপাতা, সাদা সুতো ও হলুদ।
শাস্ত্র মতে, এই পুজোয় কাঁঠালপাতার ওপর পাঁচ, সাত বা নয় রকমের ফল কেটে সাজিয়ে রাখা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসে আম, লিচু, কাঁঠালের রমরমা। তাই এই মরশুমি ফলগুলিও থাকে পাতে। তবে এর মধ্যে অপরিহার্য হল করমচা। সঙ্গে থাকে ১০৮টি আঁটি বাঁধা দূর্বা। জামাই ষষ্ঠীর দিনে ষষ্ঠী পুজোর জন্য ভোরবেলা স্নান সেরে ঘটে জল ভরে নেন শ্বাশুড়িরা। এই ঘটের ওপর আম পাতা রাখা হয়। পাশে থাকে তালপাতার পাখা। একটি সুতো হলুদে রাঙিয়ে তাতে ফুল, বেলপাতা দিয়ে গিট বেঁধে তৈরি করা হয়। একে ষষ্ঠীর ডোর বলা হয়ে থাকে। এবার দেবী ষষ্ঠীর পুজোর পালা। সকালে কাটা ফলের ডালি, সঙ্গে ফুল, দূর্বা, ষষ্ঠীর ডোর দিয়ে দেবী ষষ্ঠীর থানে অর্থাৎ স্থানে পুজো দিয়ে আসার রীতি পালন করেন শাশুড়ি মায়েরা। এবার জামাই এলে কপালে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয়। সেই দূর্বার আঁটি ঘটের জলে ভিজিয়ে তালপাতার সঙ্গে ধরে তাঁকে হাওয়া করা হয়। এতে তাঁর নিজস্ব সন্তানও বাদ যান না। এবার জামাইয়ের কবজিতে ষষ্ঠীর ডোর বেঁধে পাখার হাওয়া দিয়ে শ্বাশুড়ি ষাট-ষাট-ষাট বলে ধান ও দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন। জামাইকে আশীর্বাদ করে জামাকাপড় উপহার দেন। তার পর মিষ্টি ও ফল খেতে দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে বিস্তর খানাপিনার আয়োজন।