www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 8, 2025 2:46 am

ভারতবর্ষের বর্তমান পরিস্থিতিতে গীতায় উল্লিখিত ভগবান কৃষ্ণের কথাগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক

ভারতবর্ষের বর্তমান পরিস্থিতিতে গীতায় উল্লিখিত ভগবান কৃষ্ণের কথাগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক। ভগবান কৃষ্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনকে বলেছিলেন,
*”যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মনং সৃজামহ্যম্।।

  • পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।
    ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।।”
    গীতার এই দুই শ্লোকের অর্থ, হে ভারত! যখনই ধর্মের অধঃপতন হয় এবং অধর্মের অভ্যুত্থান হয়, তখন আমি নিজেকে প্রকাশ করে অবতীর্ণ হই।
    সাধুদের পরিত্রাণ করার জন্য এবং দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য, ধর্ম সংস্থাপনের জন্য আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই। তিনি শ্রীকৃষ্ণ, তিনি স্বয়ং ব্রহ্মাণ্ড! তিনিই পাপ, তিনিই পুণ্য, তিনি ভাল, তিনিই খারাপ! ধর্ম তিনি, অধর্ম তিনি। জন্ম তিনি, মৃত্যু তিনি! কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে শত্রুশিবিরে নিজের আত্মজনকে দেখে যখন গান্ডীব ত্যাগ করেছিলেন অর্জুন, তখন নিজের বিশ্বরূপে আবির্ভূত হন শ্রীকৃষ্ণ। সেদিন পার্থকে এই পাঠই দিয়েছিলেন পার্থসারথী। সেদিন ওই যুদ্ধ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণ ব্যাখ্যা করেছিলেন কেন এই যুদ্ধ প্রয়োজন! কখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে যুদ্ধ? কৃষ্ণ বলেছিলেন, এ জগতে সকলেই মৃত। কেবল তাঁদের পার্থিব শরীরে আবদ্ধ। প্রত্যেকের নিজস্ব কর্তব্য রয়েছে। তা পালন করতে হয়। কৃষ্ণ দেখিয়েছিলেন তিনিই ভীষ্ম, তিনিই যুধিষ্ঠীর। তিনিই অর্জুনও। তাই এই যুদ্ধ হচ্ছে কেবল তাঁরই ইচ্ছায়। তাই আধর্মের বিনাশের জন্য কখনো কখনো যুদ্ধ অপরিহার্য হয়ে ওঠে।
administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *