www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 1, 2025 9:16 pm

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম - হিন্দু ধর্ম। বিশ্বের অন্যান্য সমস্ত ধর্মের মতো হিন্দু ধর্মের কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠাতা নেই। স্বয়ং ঈশ্বর এই ধর্মের প্রবর্তক বলেই হিন্দুরা বিশ্বাস করেন।

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম – হিন্দু ধর্ম। বিশ্বের অন্যান্য সমস্ত ধর্মের মতো হিন্দু ধর্মের কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠাতা নেই। স্বয়ং ঈশ্বর এই ধর্মের প্রবর্তক বলেই হিন্দুরা বিশ্বাস করেন। পুরান মতে,তিন প্রধান দৈব পুরুষ, পৃথিবীতে ঈশ্বরের বাণীর প্রবক্তা ছিলেন। এরা হলেন ব্রক্ষা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। ব্রক্ষা-মধ্য ভারতে জন্ম, বিষ্ণু (যাঁর অপর নাম নারায়ণ, ছিলেন দক্ষিণ ভারতের অধিবাসি)এবং মহেশ্বর (যাঁর অপর নাম শিব/রুদ্র /শংকর) কাশ্মীর অর্থাৎ উত্তর ভারত থেকে এসেছিলেন। এই ত্রয়ীর দৈব-প্রবচন এত শক্তিশালী এবং তাঁদের দান এত বিশাল যে তাঁদের ঐশ্বরিক বাণীসমূহ সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ এবং অন্যান্য বহু দেশকেও প্রভাবিত করেছিল। সেই প্রাচীন যুগেও, যখন যে-কোন প্রকারের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অতি অনুন্নত, তাঁদের ঐশ্বরিক ঘোষণা দিকে দিকে বিস্তৃত হয়ে সনাতন ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

এই তিন ঈশ্বর প্রেরিত পুরুষ আদি দেবতা নামে হাজার হাজার বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন। এরাই এই সনাতন ধর্মের প্রবর্তক পিতা। হিন্দুধর্ম কোনও একটি গ্রন্থির ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় এবং কোনও একটি মানুষকে এর প্রবর্তক বলে গণ্য করা হয় না। হিন্দুরা বেদকে বলেন অপৌরুষেয়ম্। পুরুষ অর্থাৎ মানুষের রচিত নয়,বেদ ঈশ্বর প্রেরিত মনুষ্য জীবন যাপনের মূলমন্ত্র। প্রকৃতপক্ষে হিন্দুধর্মের আদি নাম ছিল সনাতন ধর্ম এবং তার প্রধান দর্শন বৈদিক ধর্ম, অর্থাৎ বেদ প্রদত্ত ধর্ম। হিন্দুদের আরাধ্য দেবতার নাম ঈশ্বর। ঈশ্বর এক পরম পুরুষ, সর্বব্যাপী, অনাদি -অনন্ত। তিনি নিরাকার, বর্ণহীন। তিনি সৃষ্টিকর্তা, সকল কারণের আদি কারণ। তিনি সর্বশক্তিমান, তাই তাঁর ইচ্ছা পালনের জন্য কোনও অধীনস্থ সহায়কের প্রয়োজন নেই। ভক্তেরা ঈশ্বরের উপাসনা করেন এবং মন্দিরে দেবতাদের জীবন, কীর্তি ও উপদেশাদি স্মরণ করে উৎসব পালন করেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *