অনেকটা আমাদের ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে মিল আছে এই হ্যালোউইন উৎসবের। কিন্তু কি এই হ্যালোউইন? ৩১শে অক্টোবর সন্ধ্যায় পালিত হয় জনপ্রিয় উৎসব হ্যালোউইন। এটি মূলত পশ্চিমা দেশগুলিতে শুরু হয়েছিল। উৎসবে মৃত আত্মাদের স্মরণ করা হত। হ্যালোউইন প্রায় ২,০০০ বছরের পুরোনো একটি রীতি। এটি প্রাচীন কেল্টিক উৎসব সামহেইন থেকে এসেছে। প্রাচীন কেল্টিকরা মনে করত ৩১শে অক্টোবর হল গ্রীষ্মের শেষ। এই দিনটি ছিল তাদের নববর্ষের আগের রাত। তারা বিশ্বাস করত, এই রাতে জীবিত ও মৃতদের সমস্ত জাগতিক সীমারেখা ভেঙে যায়। ফলে মৃত আত্মারা পৃথিবীতে নেমে আসে।
কেল্টরা তখন আগুন জ্বালিয়ে উৎসব করত। আত্মাদের সন্তুষ্ট করতে পশু বলি দিত। এলাহি ভোজের আয়োজন হত। তারা নিজেদের আড়াল করতে নানা রকম পোশাক পরত। এর ফলে মৃত আত্মারা তাদের চিনতে পারত না। পরবর্তীকালে রোমান এবং খ্রিস্টধর্মের প্রভাবে এই উৎসবে পরিবর্তন আসে। অষ্টম শতাব্দীতে ক্যাথলিক চার্চ এই প্রথাকে ‘অল সেন্টস ডে’ বা ‘অল হ্যালোজ ইভ’-এর সঙ্গে যুক্ত করে। এই ‘অল হ্যালোজ ইভ’ থেকেই ‘হ্যালোউইন’-এর জন্ম। ১৯শ শতকে আইরিশ অভিবাসীদের হাত ধরে এটি আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে হ্যালোউইন একটি মজার সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মানুষজন ভূত, জাদুকর বা মজার সব চরিত্র সেজে ঘুরে বেড়ায়।
