ভূস্বর্গ কাশ্মীরের বুক সদ্য মঙ্গলবার রক্তাক্ত করেছে জঙ্গিরা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের অপরূপ প্রকৃতির মাঝে বয়ে গিয়েছে রক্তবন্যা। স্বর্গীয় সৌন্দর্যের এই পহেলগাঁও হিন্দু ধর্মমতে মান্যতা অনুযায়ী বেশ তাৎপর্যপূর্ণ জায়গা। এই জায়গাতেই রয়েছে দেবাদিদেব মহাদেবের মন্দির মামলেশ্বর মন্দির। গণেশ,পার্বতী, মহাদেবকে কেন্দ্র করে এই মামলেশ্বর মন্দির ঘিরে কোন কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। এই মন্দিরকে ঘিরে আছে একটি পৌরাণিক ঘটনা।
পৌরাণিক ঘটনা:- এই পহেলগাঁওয়ের মামলেশ্বর মন্দির ঘিরে রয়েছে পৌরাণিক ঘটনা। বলা হচ্ছে, এই স্থান দেবতা গণেশের পুর্নজন্ম ঘিরে বেশেষ মাহাত্ম্য রাখে। বলা হয়, একবার দেবী পার্বতী, গণেশকে বাড়ির দ্বারপাল হিসাবে নিয়োগ করেন। নির্দেশ দেন, কেউ যেন বাড়িতে না ঢুকতে পারেন। সেই সময় আসেন শিব। তিনি ভিতরে যেতে চান। তবে তাঁকে বাঁধা দেন গণেশ দেবয ক্রোধে গণেশের শিরচ্ছেদ করেন। কথিত রয়েছে, পরে হন অনুতপ্ত। এরপর গণেশকে পুর্নজন্ম দিতে হাতির মস্তক তাঁর মাথা হিসাবে স্থাপিত করা হয়। পুনরায় জন্ম হয় গণেশদেবের। মনে করা হয়, যে পহেলগাঁওয়ের এই জায়গাতেই দেবতা গণেশের পুনরায় জন্ম হয়। সেই থেকে এই স্থানের মাহাত্ম্য রয়েছে। শোনা যায়, অমরনাথ যাত্রার সঙ্গে জুড়ে রয়েছে এই মামলেশ্বর মন্দির। এই মন্দির দর্শন করে ভক্তরা এগোন অমরনাথের পথে। বহু শিবভক্তের কাছে এই মন্দির বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়াও মান্যতা রয়েছে, এখানেই তপস্যা করে দেবী পার্বতী পেয়েছিলেন শিবকে। দাম্পত্য সুখ ঘিরে বহু মান্যতা থেকে এখানে বহু ভক্ত আসেন। শ্রাবণ মাসে এখানে শিব ভক্তের সংখ্যাও থাকে চোখে পড়ার মতো।