নববধূ তরুনি এই অপমান মেনে নিতে পারে নি। তিনি শ্বশুর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে বসে পড়েছেন। সদ্য বিয়ে হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে হানিমুনেই গিয়েছিলেন। তারপর নব দম্পতি হোলিও উদযাপন করেছিলেন ধুমধাম করে। কিন্তু গোল বাঁধে এরপরই। পণের জন্য নাকি নতুন বউকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্রী নন ওই তরুণী। গত চারদিন ধরে শ্বশুরবাড়ির গেটের সামনে পথে বসে রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের এ টু জেড কলোনির। গত ২ ফেব্রুয়ারি শালিনী সিঙ্ঘলের বিয়ে হয় প্রণব সিঙ্ঘলের সঙ্গে। ১৫ ফেব্রুয়ারি দম্পতি ইন্দোনেশিয়ায় হানিমুনে যান। ফেরেন ১০ দিন পর। এরপর শালিনী ৫ মার্চ পর্যন্ত শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু হোলির জন্য নিজের বাড়িতে যান। সেখান থেকে ৩০ মার্চ ফিরলে সমস্যার সূত্রপাত হয়।
অভিযোগ, তাঁকে দেখে দরজা খুলতে রাজি হয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলেও গেটে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তিনি বাড়ির সামনে অবস্থান শুরু করেন। শালিনী জানান, ৫০ হাজার টাকা পণ না পাওয়ার কারণে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা এই আচরণ করেছেন।
এদিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রণব। তাঁর অভিযোগ, “আমার স্ত্রী শালিনীই ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা ভীত। বিশেষ করে মিরাটের ঘটনার পর থেকে আমরা আতঙ্কিত। শালিনী আমাদের হুমকি দিয়েছেন। তাই নিরাপত্তার কারণে শালিনীকে আমরা বাড়িতে ঢুকতে দিতে পারছি না।” এখনও শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসে রয়েছেন শালিনী।