হিন্দুশাস্ত্র মতে, পিতৃদোষ এমন এক বিশেষ দোষ যা জন্মকুণ্ডলীতে দেখা দিলে জীবনে নানা বাধা, অশান্তি ও অগ্রগতিতে বিঘ্ন ঘটে। এ ছাড়া পিতৃদোষকে পূর্বপুরুষদের অশান্ত আত্মা বা অসম্পূর্ণ কাজের প্রভাব হিসেবে ধরা হয়। তবে সঠিক আচার-অনুষ্ঠান এবং দানের মাধ্যমে পিতৃদোষ কাটানো সম্ভব। তবে পিতৃদোষ শুধু পূর্বজন্মেরই হবে, তার কোনও মানে নেই। পিতৃদোষ মানে পূর্বপুরুষদের পূর্ববর্তী কয়েক জন্মের দোষও হতে পারে।
পিতৃদোষ কী?
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে – কুণ্ডলীতে সূর্য, চন্দ্র, রাহু, কেতু বা শনি গ্রহের বিশেষ অবস্থান থেকে পিতৃদোষের সৃষ্টি হয়।
আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে – পূর্বপুরুষের অশান্ত আত্মা বা তাঁদের অসম্পূর্ণ কর্মের ফল ভোগ করতে হয় বংশধরদের।
এর লক্ষণ – জীবনে বারবার বাধা, অশুভ স্বপ্ন, পরিবারে অকালমৃত্যু, দাম্পত্য সমস্যা, সন্তান লাভে দেরি ইত্যাদি।
পিতৃদোষ কাটাতে কী করণীয়?
পিতৃতর্পণ ও শ্রাদ্ধ – নিয়ম মেনে জল, তিল, কুসুম দিয়ে পিণ্ড দান করলে পূর্বপুরুষের আত্মা শান্তি পায়।
গায়ত্রী মন্ত্র ও মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ – মানসিক শান্তি দেয় ও পিতৃদোষমোচনে কার্যকর।
পিতৃপুরুষের স্মরণ – তাঁদের নামে দান, সৎকর্ম ও ভোজন করানো শুভ।
পিতৃপক্ষে কোন কোন দান করলে শুভ ফল মেলে?
অন্নদান – ব্রাহ্মণকে বা গরিব ব্যক্তিদের ভাত, ডাল, সবজি খাওয়ালে শুভ ফল মেলে।
বস্ত্রদান – নতুন বা পরিষ্কার পোশাক দান করলে পুণ্যলাভ হয়।
তিল ও জল দান – আত্মার শান্তি ও ঋণমোচনে বিশেষভাবে কার্যকর।