মহাভারতে দুর্যোধন শান্তির দূত শ্রীকৃষ্ণকে বন্দি করার চেষ্টা করেছিলেন, যখন কৃষ্ণ পাণ্ডবদের পক্ষে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর কৌরব সভায় ছিলেন এবং দুর্যোধন সূঁচ-পরিমাণ জমিও দিতে অস্বীকার করলে কৃষ্ণ তাঁর বিশ্বরূপ দেখিয়েছিলেন, যা দেখে সবাই ভয় পেয়েছিল এবং দুর্যোধন তাঁর এই বিশ্বরূপ দেখে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষ্ণকে বন্দী করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কৃষ্ণ তাঁর ঐশ্বরিক শক্তি দেখিয়েছিলেন এবং তাঁর সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।
ঘটনাপ্রবাহ:
- শান্তি প্রস্তাব: মহাভারতের যুদ্ধের আগে, কৃষ্ণ পাণ্ডবদের পক্ষ থেকে কুরুক্ষেত্রের সভায় গিয়েছিলেন শান্তি স্থাপনের জন্য এবং দুর্যোধনকে পাঁচ গ্রাম দিতে রাজি করানোর চেষ্টা করেন।
- দুর্যোধনের প্রত্যাখ্যান: দুর্যোধন সেই প্রস্তাবে রাজি হননি, এমনকি সূঁচ-পরিমাণ জমিও দিতে অস্বীকার করেন।
- কৃষ্ণের বিশ্বরূপ: কৃষ্ণ তখন তাঁর ঐশ্বরিক রূপ প্রকাশ করেন, যা দেখে সভাস্থল সবাই ভয় পেয়েছিল।
- বন্দী করার চেষ্টা: এই বিশ্বরূপ দেখেও দুর্যোধনের অহংকার কমেনি, বরং তিনি কৃষ্ণকে বন্দী করার চেষ্টা করেন, কারণ তিনি কৃষ্ণকে একজন সাধারণ মানুষ বা জাদুকর ভেবেছিলেন এবং তাঁর আসল শক্তি উপলব্ধি করতে পারেননি।
- ব্যর্থ প্রচেষ্টা: কিন্তু কৃষ্ণ তাঁর ঐশ্বরিক শক্তি দিয়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন, কারণ তিনি তখন শুধু একজন দূত নন, স্বয়ং ভগবান ছিলেন, এবং তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে কিছু করা সম্ভব ছিল না।
সুতরাং, মহাভারতে কৃষ্ণকে বন্দী করার চেষ্টা করেছিলেন মূলত দুর্যোধন, যা তাঁর অহংকার ও হঠকারিতারই পরিচয় দেয়।
