www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

November 17, 2025 6:24 am

দুর্গাপুরের গড়জঙ্গলের ইতিহাস কম-বেশি সকলেই আমরা জানি। লক্ষ্মণ সেন প্রথম এখানে গভীর জঙ্গলের মধ্যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

দুর্গাপুরের গড়জঙ্গলের ইতিহাস কম-বেশি সকলেই আমরা জানি। লক্ষ্মণ সেন প্রথম এখানে গভীর জঙ্গলের মধ্যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রায় হাজার বছর ধরে সেখানে দেবী দুর্গারুপে পুজিত হয়ে আসছেন মা শ্যামরুপা। ঘিঞ্জি শহরের বেড়াজাল ডিঙিয়ে গভীর শাল পিয়ালের জঙ্গলে সবুজ প্রকৃতির কোলে দুর্গাপুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পুজো চারদিন বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হয় এখানে। রাজা লক্ষণ সেন গৌর সাম্রাজ্য থেকে পালিয়ে এসে আত্মগোপন করেছিলেন এই জঙ্গলে। তিনিই প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেন এই গভীর জঙ্গলে। জঙ্গলের ভেতরে গড়ে তোলেন শ্যামারূপা দেবীর মন্দির। এই মন্দিরে সিদ্ধিলাভের আশায় কাপালিকের আনাগোনা শুরু হয়। লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি ছিলেন কবি জয়দেব। তিনি দেবীকে শ্যাম রূপে দর্শন করেন। তারপর থেকেই দেবী দুর্গার নামকরণ হয় শ্যামারূপা।

লক্ষ্মণ সেন জঙ্গল ছেড়ে গৌরে ফিরে যাওয়ার সময় মন্দিরের দায়িত্ব দেন সেনাপতি ঢেকুরের সামন্ত রাজা ইছাই ঘোষকে। ইছাই ঘোষ এই মন্দিরে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন। উনিই প্রথম ষোড়শ উপাচারে দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে, বাংলায় প্রথম দুর্গাপুজোর সূচনা হয় এভাবেই। কথিত আছ, একবার দেবীর আদেশ লঙ্ঘন করে ইছাই ঘোষ অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে যুদ্ধে যান এবং পরাজিত ও নিহত হন। এরপর ইছাই ঘোষের সহচররা দেবী মূর্তি বিসর্জন দিয়ে দেন। পরে স্থানীয়রা শ্বেত পাথরের মূর্তি স্থাপন করে দেবীর পুজো শুরু করেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *